কুলগামে পুলিশি টহল— ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি যুব মোর্চার তিন নেতাকে গুলি করে খুন করল জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কুলগ্রাম জেলার ওয়াইকে পোরা এলাকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার খুনের নিন্দা করে নিহত টুইটারে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গি হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন যুব মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক ফিদা হুসেন ইতু, সংগঠনের জেলা কর্মসমিতির সদস্য উমর রশিদ বেগ এবং স্থানীয় নেতা উমর রমজান হজাম। তিন জনেই ওয়াইকে পোরা এলাকার বাসিন্দা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি (কাশ্মীর রেঞ্জ) বিজয় কুমার এ দিন বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার মদতে উপত্যকায় গড়ে ওঠা নয়া জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) কুলগামে বিজেপির তিন যুব নেতাকে খুন করেছে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, হামলার সময় বিজেপির তিন যুব নেতা একটি গাড়িতে যাচ্ছিলেন। সে সময় জঙ্গিরা গাড়ি লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি ছুড়ে তাঁদের ঝাঁঝরা করে দেয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তিন জনকেই ‘মৃত’ ঘোষণা করেন। স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ স্থানীয় সূত্রে হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলাম। ’’ এ দিন সকালে জেলা সুপার-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। এলাকা জুড়ে শুরু হয় পুলিশি টহলদারি।
প্রধানমন্ত্রী এ দিন টুইটারে লেখেন, ‘আমাদের তিন উদ্যমী তরুণ নেতার খুনের নিন্দা করছি। তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য অসাধারণ কাজ করছিলেন। এই শোকের সময় তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি’। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাও এ দিন তিন যুব মোর্চা নেতা খুনের নিন্দা করেন।
আরও পড়ুন: শাহ-ধনখড় কথায় বাড়ল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়া থেকেই দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে জঙ্গি-নিশানা হচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। অগস্ট মাসে কুলগাম জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সাজাদ আহমেদকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। জুলাইয়ে গুলি করে মারা হয় বান্দিপোরা জেলা বিজেপির সভাপতি শেখ ওয়াসিম বারি এবং তাঁর ভাই ও বাবাকে।
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গ বহু দূর, হাতে পেনসিল শান্তিনিকেতন