গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলেছিলেন। সোমবার আবার নির্মলা সীতারামনকে বলেছেন ‘নির্বলা’ সীতারামন। সরকারের তিন প্রধানকে এ ভাবে আক্রমণ করায় অধীর চৌধুরীকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিতে সরব বিজেপি সাংসদরা। মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হতেই এ নিয়ে লোকসভায় উত্তেজনা ছড়ায়।
এ দিন লোকসভায় মুম্বই উত্তর-মধ্যের বিজেপি সাংসদ পুনম মহাজন অধীরকে পাল্টা আক্রমণ করতে শুরু করেন। প্রথমে ওই মন্তব্যের নিন্দা করে পুনম বলেন, ‘‘...যাঁর নামের মধ্যেই ধীর রয়েছে, সেই অধীররঞ্জন চৌধুরীর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের উদ্দেশে উনি যা বলেছেন, সেটা অত্যন্ত কদর্য।’’ এর পর গাঁধী পরিবার এবং সনিয়া গাঁধীকে নিশানা করে পাল্টা আক্রমণের পথে গিয়ে পুনম বলেন, ‘‘নির্বল তো আপনি দাদা! এক পরিবারের এক জন মহিলার জন্য আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁরই সম্মান ও সুরক্ষার জন্য লড়াই করছেন।’’
এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। কিন্তু সেটা ছিল সংসদের বাইরে। সোমবার লোকসভার অভ্যন্তরেই জিডিপি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামনকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু কখনও কখনও ভাবি আপনাকে ‘নির্মলা সীতারামন’-এর জায়গায় ‘নির্বলা সীতারামন বলা ঠিক হবে কি না। আপনি মন্ত্রী পদে তো আছেন, কিন্তু আপনার মনে যা আসে, সেটা আপনি বলতে পারেন কি?’’
মোদী-শাহকে আক্রমণের পরেই অধীরকে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি তুলেছিল বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি করেন। মঙ্গলবার সেই দাবিই ঢুকে পড়ল সংসদের অভ্যন্তরে। যে হেতু লোকসভায় অর্থমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন অধীর, তাই সেই লোকসভাতেই অধীরের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব হন বিজেপি সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুপ্রবেশকারী এবং অর্থমন্ত্রীকে ‘নির্বলা’ বলায় অধীরকে লোকসভার অভ্যন্তরে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলে হই-হট্টগোল শুরু করেন শাসকদল।
আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়া ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করল নাসা
আরও পডু়ন: ২৪-এর ভোটের আগেই সব অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে তাড়িয়ে দেওয়া হবে: অমিত শাহ
অধীর চৌধুরী বা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায়নি। উল্টে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি এ দিনও সংসদে সরব ছিলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর।