ফাইল ছবি
পটনা কলেজের প্রাক্তনী তিনি। সেই পটনা কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, মারমুখী পড়ুয়াদের কারণে গুরুতর আহত হতে পারতেন নড্ডা।
আজ ও আগামিকাল দলের সাতটি শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের জন্য পটনাকে বেছে নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও বিহারের মাটিতে ওই বৈঠক করা নিয়ে ইতিমধ্যেই অস্বস্তি প্রকাশ করে সরব হয়েছে জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের জেডিইউ। তারই মধ্যে আজ পটনা কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় একদা ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র নড্ডাকে।
আজ নড্ডা কলেজ প্রাঙ্গনে পা দেওয়া মাত্র তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসএ)-এর পড়ুয়ারা। জাতীয় শিক্ষা নীতি (২০২০),বাতিল করা ছাড়াও পটনা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সরব হন বিক্ষোভকারীরা।
আজ গাড়ি থেকে নামা মাত্রই নড্ডার উপরে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি বুঝে আবার গাড়িতেই ঢুকে পড়েন বিজেপি সভাপতি। বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, ওই ঝামেলার পিছনে ইন্ধন রয়েছে শাসক দলের। অভিযোগ, বাম ছাত্র সংগঠনকে পিছন থেকে মদত দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া নড্ডা উপস্থিত হলে যে ঝামেলা হতে পারে, সে বিষয়ে কেন আগেভাগে বিজেপি সভাপতিকে অবহিত করা হল না, কেন নড্ডার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা।
তবে এখানেই শেষ নয়। কলেজে অনুষ্ঠানের পরে পটনা শহরে একটি রোড শো করেন নড্ডা। সেই রোড শো-য়ে নড্ডাকে স্বাগত জানানো নিয়ে নিজেদের মধ্যেই লড়াইয়ে নেমে পড়েন বিজেপি নেতারা। আজ নড্ডার রথ পটনা হাইকোর্ট এলাকা পার হতেই দানাপুরের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আশা দেবী ও বিজেপি নেতা জীবন সিংহের মধ্যে নড্ডাকে স্বাগত জানানো নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়।
প্রথমে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে লাঠি নিয়ে মারপিট শুরু হয়ে যায়। কোনও ভাবে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে নড্ডাকে সরিয়ে নিয়ে যায়। পরে দলীয় অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী সরকারের জনকল্যানমূলক কাজের সুফল যাতে গ্রামীণ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষেরা পান, তার উপরে জোর দেন নড্ডা। তিনি দলীয় কর্মীদের গ্রামে-গ্রামে ঘুরে প্রান্তিক মানুষেরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাহায্য পাচ্ছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।