ইন্দিরা গাঁধীর।
মোদী সরকার একাত্তরের যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে। কিন্তু ইন্দিরা গাঁধীর নাম একেবারেই আড়ালে রাখা হচ্ছে বলে আজ অভিযোগ উঠল। কংগ্রেস নিজের উদ্যোগেই ১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদ্যাপন করেছিল। বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশের বিজয় দিবসের আগে আজ দিল্লিতে সেই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের মুক্তিযুদ্ধ উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান এ কে অ্যান্টনি অভিযোগ তোলেন, একাত্তরের যুদ্ধের পরে ইন্দিরা গাঁধীকে দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। কিন্তু গত এক বছর ধরে একাত্তরের যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদ্যাপন চললেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক বার ইন্দিরা গাঁধীর নামটুকুও উচ্চারণ করেননি।
আজ দিল্লিতে জওহর ভবনে কংগ্রেসের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা হাজির ছিলেন। সনিয়া ইন্দিরাকে স্মরণ করে বলেন, ১৯৭১ ছিল ইন্দিরা গাঁধীর সেরা বছর। গোটা বিশ্বকে তিনি বাংলাদেশের মানুষের কথা বুঝিয়েছিলেন। রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক কৌশলের সুপরিকল্পিত মিশেলে একাত্তরের জয় উপমহাদেশের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। এ এমন এক ইতিহাস, যা ভূগোলকে বদলে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসের দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’-এ সুবর্ণ জয়ন্তী বিজয় মশাল অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর জ্বেলে দেওয়া চারটি মশাল গত এক বছর গোটা দেশে ঘুরেছে। একাত্তরের যুদ্ধক্ষেত্র ও ফৌজি অফিসারদের বাড়িতেও মশাল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাহুল গাঁধী উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে জনসভায় যোগ দেবেন। সেখানে একাত্তরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ফৌজিরা অংশ নেবেন। কংগ্রেসের উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রবীণ দাভার বলেন, কংগ্রেস এখন থেকে প্রতি বছরই বিজয় দিবস পালন করবে।