—প্রতীকী চিত্র।
এক শ্রেণির ভোটারদের তুষ্ট করতেই সনাতন ধর্ম নিয়ে ডিএমকে নেতারা কটূক্তি করছেন
বলে ফের আক্রমণ শানাল বিজেপি। এ নিয়ে গোড়া থেকেই অস্বস্তিতে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। বিজেপির মোকাবিলায় আজ অধিকাংশ বিরোধী দলের সদস্যেরা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়া’র প্রত্যেকটি দলের স্বাধীন সত্তা রয়েছে। একটি দলের একটি মন্তব্য কখনওই জোটের সার্বিক মন্তব্য হতে পারে না।
সম্প্রতি লেখকদের একটি অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মকে ন্যায় ও সাম্যের বিরোধী বলে উল্লেখ করে তাকে মুছে ফেলার কথা বলেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়ানিধি। প্রবল বিতর্কের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলীয় নেতাদের এর যোগ্য জবাব দিতে বলেছিলেন। এ বার সে দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রী কে পনমুডির বক্তব্য সামনে এসেছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, সনাতন ধর্মের বিরোধিতা ও সনাতন ধর্মকে শেষ করতেই ‘ইন্ডিয়া’ গঠন করা হয়েছে।
স্বভাবতই, এই বক্তব্যে নতুন অস্ত্র পেয়েছে বিজেপি। দলের সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। ‘ইন্ডিয়া’র প্রকৃত লক্ষ্য কী, তা সামনে এসে পড়েছে। এদের লক্ষ্য, সংখ্যালঘু তোষণের নামে নিজেদের ভোট নিশ্চিত করা।’’ বিজেপি মেরুকরণের তাস খেলছে বুঝেই দূরত্ব বাড়িয়েছেন বিরোধী জোটের অন্য দলের নেতারা।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘দল ওই মন্তব্য সমর্থন করে না। ‘ইন্ডিয়া’তে ২৬টি দল রয়েছে, কেউ কারও ফটোকপি নয়।’’
বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার প্রশ্ন, ‘‘কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া-র নেতারা কি জানেন না যে, সংবিধানে কোনও ধর্মকে আক্রমণ করা যায় না? মহব্বতের দোকানে কেবল সনাতন ধর্মের প্রতি ঘৃণা বিক্রি হচ্ছে।’’ কংগ্রেস সাংসদ মাণিকম টেগোরের পাল্টা যুক্তি, ‘‘ওই মন্তব্য ডিএমকের। ইন্ডিয়া জোটের নয়।’’ আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার কথায়, ‘‘কোনও একটি দলের ছোট মাপের নেতার মন্তব্য কখনওই ইন্ডিয়া-র বক্তব্য হতে পারে না।’’