মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-বিজেপির এই জোট অটুট থাকবে তো? উঠছে প্রশ্ন। ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে দর কষাকষি এখনও থামেনি। এই আবহেই রাজ্যপালের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করল বিজেপি এবং শিবসেনা। তবে এ নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেনি তারা। একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছে দু’পক্ষ। তবে রাজনৈতিক শিবিরে থামছে না জল্পনা।
সোমবার প্রথমে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোষয়ারী সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শিবসেনা। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজভবনে যান শিবসেনার নেতা দিবাকর রাবতে। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই ১৯৯৩ সাল থেকেই প্রতি বছর উৎসবের সময় রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছি। ভগৎ সিংহ কোষয়ারী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’’ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেও তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক কথা হয়নি বলেও দাবি শিবসেনার নেতার। এর পর সকাল ১১টা নাগাদ বিজেপির তরফে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন দেবেন্দ্র ফডণবীস।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং শিবসেনার একসঙ্গে লড়লেও বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাদের সম্পর্কে যেন চি়ড় ধরেছে। ওই দিন নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পর দেখা যায়, ২০১৪-র তুলনায় এ বার আসনসংখ্যা কমেছে বিজেপির। সে বার ২৮৮টি আসনবিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১২২টি আসনের দখল ছিল তাদের। তবে এ বার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০৫-এ। এর পর সরকার গড়া নিয়ে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করে শিবসেনা। সেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে মনে করিয়ে দেন, চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে ৫০:৫০ ফর্মুলার আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘‘লোকসভা ও বিধানসভা, দুয়েতেই আমরা কম সংখ্যক আসনে লড়েছি। বার বার বিজেপিকে জায়গা ছেড়ে দিতে পারব না। দল হিসাবেও তো আমাদের বাড়তে হবে। বিজেপিকে ওই ফর্মূলার কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, যেটা অমিত শাহের উপস্থিতিতে ভাবা হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন: কুকুরের মতো মরেছে বাগদাদি, বেশ কয়েক ঘণ্টার জল্পনার পর ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্টের
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় এবার প্রধানমন্ত্রীর মুখেও পাক অধিকৃত কাশ্মীর
মুখ্যমন্ত্রী পদে আড়াই বছরের জন্য বিজেপি-শিবসেনার প্রতিনিধি থাকবে, এই দাবিতেই এখনও অনড় উদ্ধব ঠাকরে। উদ্ধবের পাশাপাশি বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে সক্রিয় হয়েছেন তাঁর দলের নেতারাও। রবিবার সেনার মুখপত্র ‘সামনা’-য় দলের মুখ্য সচেতক দাবি করেন, ক্ষমতায় ‘রিমোট কন্ট্রোল’ তাঁদের হাতেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাগৈতিহাসিক যুগে পূজিত হত টেমস? লন্ডনে ব্রোঞ্জ যুগের রহস্যময় মন্দির ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
আরও পড়ুন: শপথ মিটলেও প্রশ্ন, খট্টর-রাজ টিকবে তো
এই আবহেই উদ্ধবের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। শেষমেশ মহারাষ্ট্রে কোন সমীকরণ কাজ করে, তা সম্ভবত বোঝা যাবে বিজেপি-শিবসেনার ওই বৈঠকের পর।