সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই আলাপুঝায় তৎপর হয়েছে কেরল সরকার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
ফের বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ কেরলে। আলাপুঝা জেলায় আপাতত ২৬ জনের রক্তে বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস ‘এইচওয়ানএনওয়ান’-এর হদিশ মিলেছে বলে রাজ্যের পশুপালন দফতর জানিয়েছে। সংক্রমণ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আলাপুঝা জেলায় বৃহস্পতিবার কড়া সতর্কতা (‘হাই অ্যালার্ট’) জারি করেছে কেরল সরকার। সংক্রমণে রাশ টানতে ওই জেলায় বাড়িতে থাকা হাঁস, মুরগি শুক্রবার থেকেই গণহারে মারা হবে বলে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। তার জন্য সরকারি নিয়ম মেনে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে আলাপুঝায় বহু হাঁস, মুরগি মরতে দেখে সংক্রমিত হয়েছেন সন্দেহে জেলার ১৪০ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাই সিকিওরিটি অ্যানিমাল ডিজিজ-এ পাঠিয়েছিল কেরলের পশুপালন দফতর। তাঁদের মধ্যে রক্তপরীক্ষায় ২৬ জন ‘পজিটিভ’ হয়েছেন হলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।
আলাপুঝা ও পাশের জেলা কোট্টায়ামে হাঁস, মুরগি পালনই বহু মানুষের জীবিকা। এই সময় ওই এলাকায় আসে বহু পরিযায়ী পাখি। তারাই সঙ্গে নিয়ে আসে বার্ড ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জার এই ভাইরাস। গত বছরও আলাপুঝায় বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল। ২০১৬-য় আলাপুঝা ও পাঠানামিট্টায় বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। সে বছর সংক্রমণ রুখতে ৫০ হাজারেরও বেশি গৃহপালিত হাঁস, মুরগি মারা হয়েছিল।
বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ফ্লু ভাইরাসের কয়েকটি রূপ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তাদের মধ্যে ‘এইচসেভেনএননাইন’ রূপটিকেই সবচেয়ে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে।
তবে কেরলের পশুপালন দফতর জানিয়েছে, আলাপুঝায় যে ২৬ জন বাসিন্দার রক্তে বার্ড ফ্লু-র ভাইরাসের হদিশ মিলেছে সেখানে এখনও পর্যন্ত ‘এইচসেভেনএননাইন’ রূপটির দেখা মেলেনি। মিলেছে ভাইরাসের ‘এইচওয়ানএনওয়ান’ রূপের হদিশ।