ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর মহকুমায় রিয়াং শরণার্থী পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী বাঙালিরা দেখা করতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের সঙ্গে।
২১ নভেম্বর রিয়াং পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে অবরোধের সময়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় কাঠমিস্ত্রি শ্রীকান্ত দাসের। আবার আন্দোলনকারীদের হামলায় দমকলকর্মী বিশ্বজিৎ দেববর্মার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। আজ এই দু’জনের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে তাঁর এই সফরের সরাসরি সম্প্রচারও শুরু হয়। পরে তিনি ২১ নভেম্বর গুলিতে আহত গোকুলচন্দ্র দাসের বাড়িতেও যান।
কিন্তু গোলমাল শুরু হয় দশদা এলাকায় জড়ো হওয়া বাঙালি উদ্বাস্তুরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করায়। তাঁদের দাবি, পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রীকান্ত, বিশ্বজিৎ ও গোকুলচন্দ্রের বাড়ির দিকে এগোন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ফেরার সময়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তাঁরা।
কিন্তু বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ব্যূহ তৈরি করেন। তাঁদের ও পুলিশের বাধায় কেউই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। শুরু হয় চেঁচামেচি। ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দেখা যায় প্রচারের ভিডিয়োটিই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাঙালি এক উদ্বাস্তু মহিলার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কথা শুনবেন বলায় আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দিল। রিয়াংদের অত্যাচারে আমরা গছিরামপাড়া থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছি। তাদের জন্য ওঁর কত দরদ। আমাদের কথা শোনারই সময় নেই।’’
তবে কাঞ্চনপুর মহকুমার বিজেপি মণ্ডলের সহসভাপতি অরুণ নাথ জানিয়েছেন, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।