Bilkis Bano

বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি নিয়ে কেন্দ্র এবং গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

গত ১৫ অগস্ট বিলকিসকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ২০:১০
Share:

বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র এবং গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

গুজরাতে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে এ বার কেন্দ্র এবং গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিভি নাগরত্নর বেঞ্চ এই বিষয়ে কেন্দ্রকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে গুজরাত সরকারকে ধর্ষকদের মুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ এপ্রিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। এর পরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শীর্ষ আদালত। মুক্তির পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই অপরাধীদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

এর পর বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় দেশ জুড়ে। কেন মেয়াদ শেষের আগে ১১ জন ধর্ষক ও খুনিকে ছাড়া হল, এ নিয়ে বিতর্ক বাধে। বিতর্কের মধ্যেই গুজরাত সরকার জানায় যে, জেলে ওই ১১ জন ধর্ষক ও খুনি ‘ভাল আচরণ’ করেছেন, সে কারণেই তাঁদের সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে। যদিও প্রতিপক্ষ দাবি করে, ওই ১১ জন বিভিন্ন সময় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যখন জেলের বাইরে ছিলেন, তখনও তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। ধর্ষকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিলকিস। তাঁর আর্জি মেনে ১১ জন ধর্ষক ও খুনির সাজার মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখতে নতুন বেঞ্চ গড়ে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। প্রধান বিচারপতি গত বুধবার এই ঘোষণা করে বলেন, ‘‘নতুন বেঞ্চ গড়া হয়েছে। আজ বিকেলেই মামলার শুনানি শুরু হবে।’’

২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন ৩মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর ৩ বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তাঁর পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন ১ জনের মৃত্যু হয়। গত ১৫ অগস্ট ওই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement