সবদিক বিচার বিবেচনা করেই মহারাষ্ট্রের ওই রুটে বন্দে ভারত চালানো বন্ধ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফাইল চিত্র
হইচই ফেলে যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যেই যাত্রা শেষও হয়ে গেল বন্দে ভারতের। ভারতীয় রেলের একটি রুটে আপাতত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রের বিলাসপুর-নাগপুর রুটে বন্দে ভারত আপাতত চলবে না। বদলে ওই রুটের যাত্রীদের পরিষেবা দেবে ভারতীয় রেলের আর এক দ্রুতগামী ট্রেন তেজস এক্সপ্রেস।
কেন এই সিদ্ধান্ত, তা বিশদে সরকারি ভাবে না জানালেও রেল সূত্রের খবর, যাত্রীদের আগ্রহের অভাবেই আপাতত বন্ধ করে দিতে হল বন্দে ভারত। ট্রেনের ভাড়ার অঙ্কটি চড়া হওয়ায় প্রথম দিন থেকেই বন্দে ভারত নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অনীহা ছিল। পরে ট্রেনটি পুরোদমে চালু হওয়ার পর এক দিনও বন্দে ভারতের মোট আসনের ৫০ শতাংশের বেশি টিকিট বিক্রি হয়নি। এ দিকে ভারতের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত চালানোর খরচও বিস্তর। তাই সব দিক বিচার বিবেচনা করেই মহারাষ্ট্রের ওই রুটে বন্দে ভারত চালানো বন্ধ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গত ১১ ডিসেম্বরেই চালু করা হয়েছিল নাগপুর-বিলাসপুর রুটের বন্দে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেছিলেন তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবার। তার ঠিক পাঁচমাস পরেই গত ১১ মে বিলাসপুর-নাগপুর রুটে বন্দে ভারত পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি অন্য যে সমস্ত রুটে বন্দে ভারতে যাত্রী সমাগম হচ্ছে না, সেখানেও কি একই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে?
রেল সূত্রে সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তবে জানা গিয়েছে, নাগপুর-বিলাসপুর রুটের সাড়ে ৫ ঘণ্টার যাত্রাপথে বন্দে ভারতের এক্সিকিউটিভ শ্রেণির ভাড়া ছিল ২০৪৫ টাকা। সাধারণ চেয়ারকারের ভাড়া ছিল ১০৭৫ টাকা। রেল জানিয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই এই টিকিট কেটে ফেলেছিলেন, তাঁদের রেলের তরফে ভাড়া ফেরত দেওয়া হবে। এর জন্য রিফান্ড বুথ করা হয়েছে। এমনকি, বিভিন্ন ট্রেনে এ সংক্রান্ত ঘোষণাও করা হচ্ছে যাত্রীদের অবগতির জন্য।
রেল জানিয়েছে, তেজসে ১১টি কোচ থাকবে। বন্দে ভারতের সময়েই সেটি যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছবে। ট্রেনের নম্বরও থাকবে একই। কিন্তু বন্দে ভারত আপাতত আর চলবে না এই রুটে।