Death of Bihar BJP Leader

পুলিশের লাঠিচার্জে নয়, হৃদ্‌রোগে মৃত্যু হয়েছে বিহারের বিজেপি নেতার, দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজয়কুমার সিন্‌হা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “পুলিশের লাঠিচার্জেই মৃত্যু হয়েছে আমাদের নেতা বিজয় সিংহের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রভাবিত করা হয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

পটনা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ১৪:২৭
Share:

বিহার বিধানসভার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। ছবি: পিটিআই।

পুলিশের লাঠির আঘাতে নয়, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিহারের বিজেপি নেতার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে এমনই দাবি করেছে বিহার রাজ্য প্রশাসন। গত সপ্তাহে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখানোর সময় মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি নেতা বিজয়কুমার সিংহের। তার পরই অভিযোগ ওঠে, পুলিশের লাঠিচার্জে মৃত্যু হয় ওই নেতার।

Advertisement

জেহানাবাদের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বিজয়। গত ১৩ জুলাই বিধানসভায় হুলস্থুল কাণ্ডের পর তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পটনা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি নেতার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এর পরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে তারা। সেই রিপোর্ট উল্লেখ করে রাজ্য প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়, বিজেপি নেতার হদ্‌রোগ সংক্রান্ত জটিলতা ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে। এর পরই পুলিশের লাঠিচার্জের আঘাতে মৃত্যুর অভিযোগকে খারিজ করে রাজ্য প্রশাসন।

তবে রাজ্য প্রশাসন যখন দাবি করছে, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি নেতার, পাল্টা বিজেপি দাবি করেছে, রাজ্য প্রশাসন ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে ‘প্রভাবিত’ করেছে। পুলিশের লাঠির ঘায়েই মৃত্যু হয়েছে তাদের নেতার। রাজ্য প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। রিপোর্ট ভাল ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। তার পরই পটনা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত বোর্ড জানিয়েছেন, বিজেপি নেতার মৃত্যু হয়েছে হৃদ্‌রোগে এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে।”

Advertisement

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজয়কুমার সিন্‌হা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “পুলিশের লাঠিচার্জেই মৃত্যু হয়েছে আমাদের নেতা বিজয় সিংহের। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রভাবিত করা হয়েছে। আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” তাঁর অভিযোগ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অঙ্গুলিহেলনেই এই রিপোর্ট বদলানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement