প্রতীকী ছবি।
ফের দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের পরে এ বার বিহার। পরিবারের দাবি, গণধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি ‘অপমানে’ আত্মঘাতী হয় গত কাল। হাথরাস নিয়ে দেশজোড়া বিক্ষোভের মধ্যেই এই ঘটনায় উত্তপ্ত ভোটমুখী রাজ্যটি।
পরিবারের অভিযোগ, গয়ার ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছিল চার জন। অভিযুক্তদের তিন জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পরিবার। জানা গিয়েছে, তাদের নাম রাহুল কুমার, চিন্টু কুমার, চন্দন কুমার। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে পরিবারটি। চতুর্থ জনকে চিহ্নিত করা যায়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রামেই এক বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল মেয়েটি। ফেরার পথে অভিযুক্তেরা তার রাস্তা আটকিয়ে ধর্ষণ করে। কোনও মতে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়ি পৌঁছয় মেয়েটি। বাড়িতে ধর্ষণের কথা জানায়ও সে। এর পরে নিজের ঘরে ঢুকে গলায় দড়ি দেয়। ঘরের ভিতরে অনেকক্ষণ তার কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়ির লোকেদের। দরজা ভেঙে মেয়েটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তারা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ভোটের ঠিক মুখে বিহারে দলিত ধর্ষণের ঘটনা কংগ্রেস, আরজেডি-সহ বিরোধী দলগুলির হাতে অস্ত্র তুলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষি বিল, শরণার্থী সমস্যা ও করোনা সঙ্কটের পাশাপাশি এ বার রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তার অভাব নিয়েও নীতীশ কুমার সরকারকে কোণঠাসা করবেন বিরোধীরা।