মোদী, নীতীশ এবং তেজস্বী। ফাইল চিত্র।
দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারকে সমর্থন করার পিছনে কোনও ভুল নেই। কারণ তাঁর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। সামাজিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাজ্যসভা বাদে তিনি আইনসভার সব কক্ষের সদস্যের ভূমিকা পালন করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং দীর্ঘ দিন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
আগামী লোকসভা ভোটে নীতীশকে সামনে রেখে বিরোধীরা ভোটে লড়বে কি না জানতে চাওয়া হলে তেজস্বীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কেন নয়? আমাকে বলুন কারও সঙ্গে তুলনা করুন। নরেন্দ্র মোদী যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে নীতীশজি কেন নয়?’’
গত কয়েক মাস ধরেই লালন সিংহ, উপেন্দ্র কুশওয়াহার মতো জেডি(ইউ) নেতারা প্রকাশ্যে নীতীশকে ‘প্রধানমন্ত্রিত্বের যোগ্য’ মন্তব্য করছেন। এই পরিস্থিতিতে তেজস্বীর মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। প্রসঙ্গত, বুধবার বিহারে আরজেডি-জেডি(ইউ)-কংগ্রেস-বামেদের জোট মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ ছাড়াও উপমুখ্যমন্ত্রী পদ শপথ নেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী। তেজস্বী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘কোনও পূর্ব পরিকল্পনা করে আমরা জেডি(ইউ)-র সঙ্গে জোট করিনি। পুরো বিষয়টাই দ্রুত ঘটনাপ্রবাহের ফলশ্রুতি।’’