গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ক্ষমতার পালাবদলের পরেও ইস্তফা দিতে নারাজ বিহার বিধানসভার স্পিকার বিজয়কুমার সিন্হা। এই পরিস্থিতিতে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে আপসারণের প্রক্রিয়া শুরুর পর বিধানসভায় আস্থাভোটের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন মহাগঠবন্ধন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যেই বিধানসভার অধিবেশন ২৪ অগস্ট আহ্বান করা হয়েছে।
নীতীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের শপথ নেওয়ার পরে বুধবার ক্ষমতাসীন জোট সূত্রে জানা গিয়েছিল, আগামী ২৪ অগস্ট বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে নয়া সরকার। কিন্তু বাধ সেধেছে স্পিকারের পদে থাকা বিজেপি বিধায়ক বিজয়ের অনড় মনোভাব। সাধারণ ভাবে, রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পর সংশ্লিষ্ট আইনসভার স্পিকার ইস্তফা দেওয়াই দস্তুর। সাম্প্রতিক অতীতে কর্নাটকে এমনটা দেখা গিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের পরও বিরোধী দলের বিধায়কের স্পিকার পদ আঁকড়ে থাকার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।
এই পরিস্থিতিতে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে ভোটাভুটির মাধ্যমে তাঁকে অপসারিত করার বিষয়টিকেই প্রাথমিক গুরুত্ব দিতে চাইছে আরজেডি-জেডি(ইউ)-কংগ্রেস-বামেদের জোট।
জেডি(ইউ) বিধায়ক তথা প্রাক্তন স্পিকার বিজয় চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী ৫০ জন বিধায়কের সই করা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হলে ১৪ দিন পরে অধিবেশন ডেকে তা উত্থাপিত করতে হবে। পরিষদীয় বিধি অনুযায়ী কোনও স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে তিনি বিধানসভায় সরকারের আনা আস্থাপ্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি পরিচালনা করতে পারেন না। ডেপুটি স্পিকার সেই দায়িত্ব পালন করেন।’’