নীতীশ সরকারের আইনমন্ত্রী কার্তিকেয়র বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা। ফাইল চিত্র।
অপহরণের মামলায় মঙ্গলবার দানাপুর আদালতে আত্মসমর্পণের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সে সময় আরজেডির বিধান পরিষদ সদস্য কার্তিকেয় সিংহ হাজির ছিলেন পটনার রাজভবনে! নীতীশ কুমার মন্ত্রিসভার আইনমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য!
ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া কার্তিকেয়কে রাজ্যের আইনমন্ত্রী করায় ইতিমধ্যেই বিরোধী দল বিজেপি নিশানা করেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। চাপের মুখে বুধবার নীতীশ বলেন, ‘‘এমন কোনও মামলার কথা আমার জানা ছিল না।’’ এই পরিস্থিতিতে কার্তিকেয়কে সরানো হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও বিহারের মহাগঠবন্ধনের বৃহত্তম দল আরজেডি-র প্রধান লালুপ্রসাদ বুধবার কার্তিকেয়র পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘উনি কোনও অপরাধ করেননি। সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।’’
শুধু কার্তিকেয় নন, বিহারের নয়া সরকারের প্রায় ৭২ শতাংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে, নির্বাচন নজরদারি সংস্থা এডিআর-এর তরফে বুধবার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। সেই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের নামও। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোট এবং বিধান পরিষদের নির্বাচনগুলির হলফনামা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।