নীতীশ কুমার এবং নিত্যানন্দ রাই। ফাইল চিত্র।
বিহারে ক্ষমতা হারিয়েই সুর চড়াল বিজেপি। তাদের অভিযোগ আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে জেডি(ইউ) প্রধান নীতীশ কুমার সরকার গড়ার পরেই বিহারে ফিরেছে লালুপ্রসাদের জমানার ‘জঙ্গলরাজ’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা বিহারের বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ রাই, মহাগঠবন্ধনে (আরজেডি-জেডি(ইউ)-কংগ্রেস-হাম-বামেদের ‘মহাজোট’) নীতীশের যোগদানের প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় জেলাভিত্তিক ‘অপরাধমূলক’ কার্যকলাপের খতিয়ান নিয়ে একটি টুইটও করেছেন।
নীতীশ এনডিএ ছাড়ার পরে ৪৮ ঘণ্টায় বিহারের ১১ জেলায় ডাকাতি, খুন, যৌন নির্যাতন গণপিটুনির ঘটনা তুলে ধরে নিত্যানন্দ টুইটারে লিখেছেন, ‘এক দিকে আরজেডি-র কোলে বসে জেডি(ইউ) মহাগঠবন্ধন নিয়ে এল। তার সঙ্গেই বিহারে ‘গুন্ডারাজ’। জায়গায় জায়গায় ধর্ষণ, ডাকাতি, অপরাধের খবর আসতে শুরু করেছে। এই কারণেই কি আরজেডির সঙ্গে গেলেন নীতীশ কুমার? উত্তর!’
গত মঙ্গলবার বিকেলে নীতীশ এনডিএ জোট ছাড়ার ঘোষণা করে ইস্তফা দিতে রাজভবনে গিয়েছিলেন। এর পর লালু-পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ভাবে মহাগঠবন্ধনে ফেরার কথা ঘোষণা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে, সে দিনই পটনায় একটি গাড়ির শো-রুমে ন’লক্ষ টাকারও বেশি ডাকাতি হয়েছিল। বিজেপি মতে, এই ঘটনাই প্রমাণ করছে মগধভূমে নতুন করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে শুরু করেছে।
এরই পাশাপাশি পদ্ম-শিবিরের তরফে কৌশলে সামনে আনা হচ্ছে মেরুকরণের প্রশ্নও। জুলাই মাসে সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সীমাঞ্চলে (কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া, অরারিয়া, কাটিহার ইত্যাদি জেলা) প্রায় ৫০০টি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির প্রথা চালু রয়েছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইতিমধ্যেই।