জেডিইউ-এর ১১ মন্ত্রীর মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ফাইল চিত্র ।
বিহারে সদ্য ক্ষমতায় আসা মহাগঠবন্ধন সরকারের কমপক্ষে ৭২ শতাংশ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। নির্বাচন নজরদারি সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ (এডিআর)-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
১৬ অগস্টের পরে প্রকাশিত এডিআর রিপোর্ট অনুসারে, বিহার মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়া ৩৩ মন্ত্রীর মধ্যে ২৭ (৭২ শতাংশ) জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে আবার ১৭ জন অর্থাৎ ৫৩ শতাংশ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
নতুন সরকারে আরজেডির ১৭ মন্ত্রীর মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে এবং এদের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
জেডিইউ-এর ১১ মন্ত্রীর মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের যে দু’জন মন্ত্রী রয়েছেন, তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ফৌজদারি মামলা থাকা মন্ত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে নীতীশ এবং তেজস্বীরও।
বিহারে আকস্মিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, আরজেডি-জেডিইউ আঁতাঁতের উপর আক্রমণ বাড়িয়েছে বিজেপি। এর মধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে মহাগঠবন্ধন সরকারের আইনমন্ত্রী আরজেডি নেতা কার্তিকেয় সিংহকে নিয়ে। আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল কার্তিকেয়র।
একটি অপহরণের মামলায় মঙ্গলবার দানাপুর আদালতে আত্মসমর্পণের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি সেখানে না পৌঁছে শপথ গ্রহণের জন্য পটনার রাজভবনে পৌঁছন।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আদালত তাঁকে অন্তর্বর্তী সুরক্ষা মঞ্জুর করেছিল বলেই দাবি কার্তিকেয়র।
তবে কার্তিকেয়কে নিয়ে নয়া বিতর্কের সূত্রপাতের পরই নীতীশ কুমারের নতুন মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রীদের নিয়েও সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, মহাগঠবন্ধন সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত।
তবে এত বিতর্কের মধ্যেও মঙ্গলবার দফতর বণ্টনের কাজও শেষ করে ফেলেছেন নীতীশ। বিজেপির হাত ছাড়ার পরে বিহারের নয়া জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে জেডি(ইউ) সভাপতি নীতীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদব শপথ নিয়েছিলেন। পরে শপথ নেন লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ-সহ আরও ৩১ জন মন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে আরজেডির ১৬, জেডি(ইউ)-র ১১, কংগ্রেসের দুই, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার (হাম) এক এবং এক নির্দল রয়েছেন।