Rape

পুত্রলাভের আশায় তান্ত্রিকের কথা মেনে দুই মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা বাবার

পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত বছর দশেক ধরে বাবার কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার দুই কন্যা। যে তান্ত্রিকের কথামতো এ অপরাধ করেছেন ওই ব্যক্তি, তাঁকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

পটনা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পুত্রসন্তান লাভের আশায় নিজের দুই নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে বিহারের এক বাসিন্দাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল স্থানীয় পকসো আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত বছর দশেক ধরে বাবার কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার ওই দু’জন। যে তান্ত্রিকের কথামতো এই অপরাধ করেছেন ওই ব্যক্তি, তাঁকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। পাশাপাশি, ওই নাবালিকাদের ধর্ষণে উস্কানি দেওয়ায় তাদের মা এবং কাকিমাকে ২০ বছরের জেলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বক্সার জেলার পকসো আদালতে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন নাবালিকাদের বাবা বিনোদকুমার সিংহ। বক্সারের বাসিন্দা বিনোদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে তাঁর দুই কন্যা। গত বছরের মে মাসে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল তারা। এর পর স্থানীয় থানায় বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তদন্তে নেমে বিনোদ-সহ অজয় কুমার নামে এলাকার এক তান্ত্রিককেও গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া, ওই নাবালিকাদের মা এবং কাকিমাকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। পরে ওই দুই মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়।

এই মামলাটির শুনানি হয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। শুনানিতে আদালতের কাছে তদন্তকারীদের দাবি ছিল, পুত্রলাভের আশায় ২০১২ সালে তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিনোদ। আশাপূরণের জন্য বিনোদকে নিজের কন্যাদের ধর্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই তান্ত্রিক। সে নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন বিনোদ। তাতে সায় দিয়েছিলেন বিনোদের স্ত্রী এবং ভাইয়ের স্ত্রী। ঘটনাচক্রে, পুত্রলাভ হওয়ার পরেও তান্ত্রিকের নির্দেশে একই অপরাধ করতে থাকেন বিনোদ। এ বার তান্ত্রিকের নির্দেশ ছিল, পুত্রকে বিপদের থেকে রক্ষা করার জন্য ওই নাবালিকাদের ধর্ষণ করে যেতে হবে। এমনকি, এই অপরাধে শামিল হন ওই তান্ত্রিকও। গত বছর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই নাবালিকারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement