প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে মাদক এবং অস্ত্র পাচারে জঙ্গিদের কৌশল কি অতীত হতে চলেছে? কাঁটাতার পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনাও কি অতীত হবে অদূর ভবিষ্যতে? সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যে ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে নিউজ ১৮-এ। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
কাঁটাতার পেরিয়ে সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা বার বার ভেস্তে যাওয়ায়, এ বার অন্য কৌশল নিতে চলেছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংঠন লস্কর-ই-তইবা। যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ড্রোন থেকে জলাভূমিতে লাফ দিয়ে নামছে এক জঙ্গি। নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে জঙ্গি নামানোর পরীক্ষা চালাচ্ছে লস্কর। যে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে সেটি লস্করের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের। ড্রোনে জঙ্গি বহন করে তাকে সুরক্ষিত জায়গায় নামিয়ে দেওয়া এবং কী ভাবে নামতে হবে তার প্রশিক্ষণ চলছে।
নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তা হলে কি পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি ঢোকানোর পরিকল্পনা করছে লস্কর? এক গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসেই নাকি মানববহনকারী ড্রোন ব্যবহার করে পঞ্জাবে জঙ্গি নামানো হয়েছিল। বর্তমানে মাদক এবং অস্ত্র পাচার করতে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী এবং পাচারকারীরা ড্রোন ব্যবহার করছে। মাঝেমধ্যেই সেই সব ড্রোনকে গুলি করে নামাচ্ছে সেনা এবং বিএসএফ। জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান এবং পঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার হওয়ায় পাচারকারী এবং জঙ্গিদের সেই কৌশল ভেস্তে যাচ্ছে।
গোয়েন্দাদের এক সূত্রের দাবি, এই পাচার কাজে যে সব ড্রোন ব্যবহার করছে জঙ্গি এবং পাচারকারীরা, সেগুলি ৭০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ড্রোনগুলি একটি মানুষও বহন করতে সক্ষম। আর এই ড্রোনগুলি ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে বলেও ওই সূত্রের দাবি। সেনার এক সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সহযোগিতা ছাড়া জঙ্গিরা এ সব কাজ করতে পারত না। আর এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা হলে কি এ বার এই কৌশল নিয়েই ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের নয়া কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান?