—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মালিকের স্ত্রীকে ফোন করে উত্যক্ত করার ‘শাস্তি’। বিহারের কাটিহার জেলায় এক যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত যুবকের অবশ্য দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আনন্দ বলে ওই যুবক কাটিহার জেলার কাবার গ্রামের একটি ময়দা কারখানায় কাজ করতেন। এই কারখানার মালিক ওই গ্রামেরই বাসিন্দা রাজীব কুমার। যুবকের বিরুদ্ধে উত্যক্ত করার অভিযোগ আনেন রাজীবেরই স্ত্রী। রাজীব-পত্নীর বক্তব্য, তাঁকে প্রায়ই ফোন করে অশ্লীল কথা বলতেন অভিযুক্ত যুবক। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ঢুকে গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতেন। অভিযোগকারিণীর দাবি মোতাবেক, এক দিন বাড়িতে ঢুকে অভিযুক্ত এসে তাঁকে উত্যক্ত করার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার করেন। তাঁর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে যুবককে পাকড়াও করেন।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, গ্রামবাসীরা মাথা মুড়িয়ে, গোঁফ কামিয়ে এবং গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ‘শাস্তি’ দেন অভিযুক্তকে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। এমনকি বাঁশের বেড়ার সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধরও করা হয় ওই যুবককে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে যুবককে। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, কাজের প্রয়োজনে মালিকের স্ত্রীকে ফোন করতেন। কিন্তু অশ্লীল কথা বলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বাড়িতে গিয়ে উত্যক্ত করার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন ওই যুবক। পরে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।