সেই প্রাক্তন বিধায়ক লালন রাম।
মদ তো খেলেনই, আবার মদে নিষেধাজ্ঞার জন্য নীতীশের ‘চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার’ করেও ছাড়লেন। কিন্তু কে যে চুপিসাড়ে সবটা রেকর্ড করে রাখছিল সে হুঁশ ছিল না। সে ছবি ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিও-র জেরেই বুধবার বিহার পুলিশ গ্রেফতার করল নীতীশের দলেরই প্রাক্তন বিধায়ক লালন রামকে। লালন রাম ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত অরঙ্গাবাদের জেডিইউ বিধায়ক ছিলেন তিনি।
গত মাসে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে নিজের বাড়িতে বসেই মদ্যপান করছিলেন ললন রাম। সঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন নীতীশের বিরুদ্ধে। নেশার ঘোরে নিজের ‘ক্ষমতা’ জাহির করছিলেন খোলা গলায়। ‘মেরে পাস বাহুবলী হ্যায়, মেরে পাস নীতীশ ভি হ্যায়’- এই সব ডায়ালগ সযত্নে ক্যামেরায় ধরে রাখছিল মদের আড্ডাতেই থাকা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর বন্ধুর ‘বেইমানি’র জেরে জেলে যেতে হল লালনকে।
গত ৫ এপ্রিল থেকে বিহার জুড়ে মদ বিক্রি এবং মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নীতীশ কুমার সরকার। এক মাসের মধ্যেই নজিরবিহীর সাফল্য মিলেছে বলেও নীতীশের দাবি। তাঁর মতে, ছোট অপরাধী থেকে মাফিয়া, সকলেই মদের মামলা থেকে বাঁচতে হয় রাজ্য ছেড়েছেন অথবা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে সোজাসুজি লাভবান হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই ব্যবস্থার জন্য অনেক সাধুবাদ যেমন মিলেছে, তেমন অনেক বিরোধিতার সম্মুখীনও হতে হয়েছে এবং হচ্ছে নীতীশ কুমারকে। নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে পটনা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও চলছে। তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই চোরা পথে মদের কারবার যে চলছে তা কিন্তু বারবার প্রকাশ হয়ে পড়ছে নানান ঘটনায়।