গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এনডিএ-ইউপিএ-র আসন সংখ্যায় শুধু নয়, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বহু কেন্দ্রে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। এতটাই কান ঘেঁষা পরিস্থিতি যে একটি আসনে মাত্র ১২ ভোটে নির্ধারিত হয়েছে জয়-পরাজয়। পুরসভা বা পঞ্চায়েত ভোটে এমন পার্থক্যে জয়-পরাজয় আকছার দেখা গেলেও বিধানসভা ভোটে এমন নজির খুব বেশি দেখা যায় না। তবে প্রায় একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। তিনি বললেন, রাজ্য জুড়ে বামেরা সে বার ভাল ফল করায় তিনি আর জোরালো ভাবে পুনর্গণনার দাবি জানাননি।
বিহারের ২৪৩ বিধানসভা আসনের ভোটগণনা হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। কিন্তু গণনা শেষ হয়েছে মধ্যরাতেরও পরে। কার্যত বুধবার সকালে নিশ্চিত করে জানা গিয়েছে, কোন দল কত আসনে জিতেছে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি-জেডিইউ-সহ এনডিএ জোটের দখলে ১২৫ আসন। ১১০ আসন পেয়েছে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন। চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি-র ঝুলিতে মাত্র একটি আসন।
আপাতদৃষ্টিতে আসন সংখ্যার এই হিসেব দেখে প্রার্থী এবং গণনাকেন্দ্রের ‘টেনশন’, টানাপড়েন, উত্তেজনার কিছুই বোঝা যাবে না। তার কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের চূড়ান্ত ভোটপ্রাপ্তির হিসেবে চোখ রাখলে। যেমন হিলসা কেন্দ্রে মাত্র ১২ ভোটে জিতেছেন জেডিইউ প্রার্থী কৃষ্ণকুমারী শরণ। প্রতিপক্ষ আরজেডি প্রার্থী অত্রি মুনি।
আরও পড়ুন: নীতীশের দলকেও পিছনে ফেলল বিজেপি, মোদী বললেন উন্নয়নের জয়
২০০১ সালের বিধানসভা ভোটে বারুইপুর কেন্দ্রে মাত্র ৫ ভোটে হেরেছিলেন সুজন চক্রবর্তী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূলের অরূপ ভদ্র। সেই গণনার অভিজ্ঞতা কেমন? সুজন বলেন, ‘‘ওই বছর রাজ্য আমরা অর্থাৎ বামেরা ১৯৯টি আসন পেয়েছিলাম। আমি নিজের জয়-পরাজয়ের চেয়েও সব সময় আগে ভেবেছি দলের কথা। তাই এক বার পুনর্গণনার কথা বলেছিলাম। নির্বাচন কমিশন রাজি হয়নি। আমিও আর জোরাজুরি করিনি।’’ সুজন আরও বলেন, ‘‘শুনেছি পরে কমিশনের আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল যে, মাত্র ৫ ভোটের হেরেও কী করে কেউ এতটা নির্বিকার থাকতে পারেন।’’
আরও পড়ুন: বিহারের জয় মোদীর কৃতিত্ব, বলছে বিজেপি
তবে তার চেয়েও কম, মাত্র ১ ভোটে জয়-পরাজয়েরও ইতিহাস রয়েছে নির্বাচন কমিশনে। ২০০৮ সালে রাজস্থানের নাথোদ্বারা কেন্দ্রে হেরেছিলেন কংগ্রেস নেতা সি পি যোশী।