বিহার বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল ও নীতীশ কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
বিহারে ভোটগণনার প্রবণতায় মোটামুটি স্পষ্ট, শক্তি বাড়ছে বিজেপির। আসন কমছে জেডিইউ-এর। আর সেই আভাস পেতেই দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে থেকে দাবি উঠেছে, বিজেপি থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করার। কিন্তু দলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, ভোটের আগে যা ঘোষণা হয়েছে, তার নড়চড় হবে না। অর্থাৎ ভোটের ফল শেষ পর্যন্ত এনডিএ জোটের পক্ষেই থাকলে, মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ কুমারই। বিহারের বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, সরকারে নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে কোনও বিতর্কই থাকতে পারে না।
বুধবার বিহার বিধানসভার ২৪৩ আসনের ভোটগণনা শুরু হয় সকাল ৮টায়। প্রথম দিকের প্রবণতায় এগিয়ে ছিল তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট। কিন্তু বেলা বাড়তেই ফল উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, গণনা সম্পূর্ণ হতে মধ্যরাত হয়ে যেতে পারে। তবে সন্ধে পর্যন্ত যা প্রবণতা, তাতে পাল্লা ভারী বিজেপি-জেডিইউ শিবিরের দিকেই। কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভাবে একক বৃহত্তম দল হওয়ার পথে বিজেপি। আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে শক্তি হারাতে চলেছেন নীতীশ কুমার ও তাঁর দল জেডিইউ।
এই প্রবণতা সামনে আসতেই বিজেপির নিচু স্তরের নেতারা অনেকে দাবি তোলেন, বিজেপি থেকে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। বিকেলের দিকে সাংবাদিক বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু সঞ্জয়ের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘ভোটের অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আমি দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছি, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিহারে সরকার গঠন করবে এনডিএ।’’
আরও পড়ুন: লাইভ: সবচেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি, নীতীশের দল তিন নম্বরে
যদিও দলের নিচু তলার একাংশ থেকে দাবি উঠেছে, যে হেতু জোটে বিজেপির আসন বেশি, তাই তাঁদের দল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিহারের তফসিলি মোর্চার সভাপতি অজিত চৌধরি। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি অনেক বেশি আসন পাচ্ছে। তাই আমাদের দল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাতেও টিকবে না মমতা সরকার, বিহারে প্রবণতা দেখে দাবি কৈলাসের
নাম না করেও বিরোধী জোটের মুখ আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের উদ্দেশে রাজ্য বিজেপি সভাপতির কটাক্ষ, ‘‘বিরোধীরা বিভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়েছে এবং ভোটারদের নানা প্রলোভন দেখিয়েছে। মানুষ বুদ্ধিমান। সত্যি-মিথ্যের পার্থক্য তাঁরা বোঝেন।’’