ছবি: এএফপি।
পুলিশের হেনস্থা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে এ বার সরব হলেন কাশ্মীরের সাংবাদিকেরা। শ্রীনগরে কাশ্মীর প্রেস ক্লাবে সোমবার ‘পুলিশের নির্যাতন, হেনস্থা ও হুমকির বিরুদ্ধে’ জরুরি সভায় হাজির হয়েছিলেন কাশ্মীরের প্রায় সব শহর থেকে আসা বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিকেরা। বহু সাংবাদিক কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পরে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেএনএলএফ রবিবার হরতালের ডাক দিয়ে শনিবার যে বিবৃতি দেয়, সেটি প্রকাশ করার ‘অপরাধে’ শনিবার শ্রীনগরের দুই সিনিয়র সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গিয়ে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করে পুলিশ। খবর পেয়ে অন্য সাংবাদিকেরা পুলিশের আইজি-র দফতরে হাজির হলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক সাংবাদিকেরা তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ করেন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিনের সভাটি ডেকেছিল কাশ্মীর প্রেস ক্লাব।
ত্রালের সংবাদিক ইরফান আমিন মালিক জানান, গত বছর ১৪ অগস্ট পুলিশ জোর করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। সারা রাত সেখানে আটকে রাখার পরে বাড়ির লোক ও অন্য সাংবাদিকেরা সরকারের কাছে দরবার করার পরে তাঁকে ছাড়া হয়। কয়েক হাজার লোককে পুলিশ যে আটক করেছে, সাংবাদিক পিরজাদা আশিক তা প্রকাশ করার পরে শ্রীনগরের কোঠিবাগ থানার পুলিশ তাঁকে তলব করে। পিরজাদা জানান, ‘‘থানায় বসিয়ে রেখে ধমক-ধামক দিয়ে পুলিশ কয়েক ঘণ্টা ধরে আমার কাছে একটাই কথা জানতে চায়, কোন সরকারি সূত্র আমাকে এই খবর ও তথ্য দিয়েছে!’’
আরও পড়ুন: গরুদের জন্য ‘খাদ্য ব্যাঙ্ক’, খাবার দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ