এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর সার্কেলের জন্য কোনও ধরনের ‘মেল’ বুক করা যাবে না।
আপাতত জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও চিঠি পাঠানো যাবে না।
সোমবার এমনই এক নির্দেশ এসে পৌঁছেছে কলকাতায়। শুধু চিঠি নয়, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সব ধরনের পার্সেল নিয়েও। পূর্ব ভারতের পোস্টমাস্টার জেনারেল (মেল) নীরজ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি অভ্যন্তরীণ। এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু কলকাতা নয়, এই নির্দেশ পৌঁছেছে দেশের সর্বত্র। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে এই সিদ্ধান্ত। তবে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে ফেলার আগেই এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্য বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর সার্কেলের জন্য কোনও ধরনের ‘মেল’ বুক করা যাবে না। তার মধ্যে চিঠি যেমন রয়েছে, তেমনই সব ধরনের পার্সেলও রয়েছে। বেসরকারি ক্যুরিয়র সার্ভিসও আপাতত জম্মু ও কাশ্মীরে তাদের পরিষেবা বন্ধ রেখেছে বলে ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কাশ্মীর থেকে পোস্টকার্ড
আগা শহিদ আলি
খুব ছোট হয়ে কাশ্মীর ঢুকে পড়েছে এই খামে,
চার বাই ছয়ের পরিচ্ছন্ন খামটাই এখন আমার ঘর।
পরিচ্ছন্নতা বরাবরই পছন্দ আমার। এখন
দু’হাতের মধ্যে আধ ইঞ্চি হিমালয়।
ঘর বলতে এ-টুকুই এখন।
এর থেকে বেশি কাছাকাছি পৌঁছনো যাবে না
আর কোনও দিন। যখন ফিরে যাব,
হয়তো নিভে এসেছে সমস্ত রং।
ঝিলমের জল এত স্বচ্ছ, এত উজ্জ্বল নীল।
ঝলসে যাওয়া আমার ভালবাসা।
ঝাপসা হয়ে আসা
স্মৃতির ভিতর শুধু সাদা-কালো
একটা নেগেটিভ,
তখনও অস্ফূট।
জম্মু-কাশ্মীরে চিঠি পাঠানো বন্ধের কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরে ভাইরাল হয়েছে কাশ্মীরি কবির এই লেখাটি। নেটিজ়েনদের মন্তব্য— ‘ডাকবাক্সটাও রইল না আর’।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পথেও অনেক মেল থাকতে পারে। হয়তো কলকাতা থেকে দু’দিন আগেই কোনও চিঠি বা পার্সেল পাঠানো হয়েছে। সেটি এখন দিল্লিতে আটকে। এই ধরনের সব চিঠি ও পার্সেল আটকে রাখতে হবে বলে দিল্লির ডাক বিভাগের ডিরেক্টর (মেল অপারেশন) পবন সিংহের সই করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।