অমর্ত্য সেন
কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন অমর্ত্য সেন। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের দাবি, ভারতের গণতন্ত্রের সুনামকে ক্ষুণ্ণ করেছে সরকারের পদক্ষেপ। কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারেরও নিন্দা করেছেন তিনি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কার্ফু জারি করা এবং নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে উপত্যকাকে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্তকে ‘ঔপনিবেশিক অজুহাত’ আখ্যা দিয়ে অমর্ত্য বলেন, ‘‘এ ভাবেই ব্রিটিশরা ২০০ বছর এ দেশে শাসন চালিয়েছে!’’ তিনি মনে করেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে কাশ্মীরে কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।’’
একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৮৫ বছরের অমর্ত্য বলেন, ‘‘এক জন ভারতীয় হিসাবে কাশ্মীর নিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমি গর্বিত নই।
কারণ গণতন্ত্র নিয়ে ভারতের যে অগ্রগতি, এই ধরনের কাজ সেই সুনামকে ক্ষুণ্ণ করে।’’ তাঁর বক্তব্য, সরকারের এই সিদ্ধান্ত সব মানুষের ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন চাপিয়ে দেওয়া, গণতন্ত্রে যা কখনওই কাম্য নয়।
উপত্যকায় নেতাদের গ্রেফতারের নিন্দা করে অমর্ত্য বলেছেন, ‘‘নেতাদের অন্তরীণ করে, জনগণের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব না দিয়ে কোনও সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। মানুষকে ন্যায় বিচার দেওয়াও যায় না।’’ কাশ্মীরের জমি-সম্পত্তি বাইরের লোকের কেনাবেচার জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় সেখানকার মানুষের উদ্বেগের বিষয়টিকে যুক্তিসঙ্গত বলে বর্ণনা করেন অমর্ত্য। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু সিদ্ধান্ত তো সেখানকার মানুষকে নিতে দিতে হবে!’’