ফাইল ছবি।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের ‘অমিতবিক্রমী’ পদক্ষেপের পরের দিনই কড়া সমালোচনায় সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। বললেন, ‘‘এতে জাতীয় সংহতি মোটেই শক্তিশালী হল না। বরং দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াল।’’
সংসদে এই সরকারি পদক্ষেপের বিরোধিতা কী ভাবে করা হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে এক দফা বৈঠক হয় কংগ্রেস সাংসদদের। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই টুইটে মোদী সরকারের ‘অমিতবিক্রমী’ পদক্ষেপের সমালোচনা করেন রাহুল।
টুইটে রাহুল লেখেন, ‘‘সংবিধানকে লঙ্ঘন করে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জেলে পুরে ও জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে জাতীয় সংহতিকে শক্তিশালী করা যায় না। শুধুই কিছু জমির খণ্ড দেশটাকে গড়ে তোলেনি, দেশটাকে গড়ে তুলেছেন দেশের নাগরিকরাই। প্রশাসনিক ক্ষমতার এই অপব্যবহার দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন গত কাল রাজ্যসভায় কাশ্মীর নিয়ে সরকারি পদক্ষেপের ঘোষণা করছিলেন, সেই সময় দলের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে দৃশ্যতই কিছুটা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে দেখা যায় কংগ্রেস সাংসদদের। তাঁদের মধ্যে এমনকী মতবিরোধও দেখা যায়। রাহুল নিজেও মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন।
আরও পড়ুন- পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চিন ভারতের অংশ, লোকসভায় বিল পেশ করে বললেন অমিত
আরও পড়ুন- রাজ্য নয় কাশ্মীর, আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ, পুরোপুরি বলবৎ সংবিধান
রাজ্যসভায় গত কাল অমিতের ঘোষণার সময় কংগ্রেস সদস্যদের একটি অংশকে যখন ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে সমালোচনায় সরব হতে দেখা যায়, তখনই সংসদের বাইরে জনার্দন দ্বিবেদী, দীপেন্দ্র হুডার মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতারা সমর্থন করেন কেন্দ্রীয় পদক্ষেপকে।
ওই রকম পরিস্থিতিতে তিনি দলের কোনও জরুরি বৈঠক ডাকবেন কি না, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন রাহুল। তখনই রাহুল জানিয়ে দেন, ‘‘না, আমি কোনও বৈঠক ডাকতে পারি না। কারণ, আমি আর দলের সভাপতি নই।’’
এ দিন সকালে সনিয়াই প্রথম দলের সাংসদদের কাছে জানতে চান, ‘‘আপনারাই ঠিক করুন, কোন অবস্থান নেবেন। সমর্থন না কি বিরোধিতা?’’ পরে বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি, বিরোধিতা করব। যেহেতু এই পদক্ষেপের আগে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ ও সেখানকার বিধানসভার সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করো হয়নি।’’