—প্রতীকী চিত্র।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) অনুমোদিত পাঠ্যবইয়ে ইন্ডিয়া-র পাশাপাশি, থাকছে ভারত-ও। সংস্থার অধিকর্তা দীনেশ প্রসাদ সাকলানি আজ এ কথা জানিয়েছেন। সামাজিক বিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম সংশোধনের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের সুপারিশ অনুসারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে এনসিইআরটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অনুমোদিত সংস্থার মতো কাজ করছে।
এনসিইআরটি-র রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে অযোধ্যা-অধ্যায়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কের আবহেই নয়া ফরমান জারি করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই স্বশাসিত সংস্থাটি। এনসিইআরটি-র প্রধান দীনেশ বলেছেন, ‘‘পাঠ্যবইয়ে ভারত ও ইন্ডিয়া ব্যবহার করা হলে কোনও আপত্তি নেই। এটা সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ… এতে আপত্তি থাকবেই বা কেন? আমরা এই বিতর্কের মধ্যে নেই। যেখানে প্রয়োজন হবে ভারত ও যেখানে প্রয়োজন হবে ইন্ডিয়া ব্যবহার হবে।’’ বিতর্কের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে এনসিইআরটি প্রধানের বক্তব্য, পাঠ্যবইয়ে ইতিমধ্যেই ভারত এবং ইন্ডিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই প্যানেল ইন্ডিয়া-র পাশাপাশি, ভারত শব্দটি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এনসিইআরটি সঙ্ঘ পরিবারের অনুমোদিত সংস্থার মতো কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন জয়রাম। তিনি বলেন, ‘‘ সংবিধানের প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষতার কথা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু এনসিইআরটি লাগাতার সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আঘাত করছে।’’ নিট-এর প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন এআইসিসি-র এই সাধারণ সম্পাদক (জনসংযোগ)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শাসনকালে উত্তরপ্রদেশে ৪০টিরও বেশি প্রশ্ন ফাঁসের
ঘটনা ঘটেছে।