Bengaluru

২০ বছর মহিলার পেটের ভিতরে সূচ! বেঙ্গালুরুর হাসপাতালকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ

২০০৪ সালে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। পর দিন থেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু। ছ’বছর পর পরীক্ষায় ধরা পড়ে, রোগীর পেটে গেঁথে রয়েছে ৩.২ সেন্টিমিটারের আস্ত একটি সূচ!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ১৮:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি। — ফাইল চিত্র।

২০ বছর আগে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকের ভুলে প্রায় ৩.২ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের সূচ রয়ে গিয়েছিল শরীরের ভিতরেই! এত দিন পরে সেই ভুলেরই খেসারত দিল হাসপাতাল। ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই রোগিনীকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে তাদের।

Advertisement

কর্নাটকের ক্রেতা সুরক্ষা আদালত বিমা-সংস্থাকে ‘চিকিৎসায় গাফিলতি’র জন্য জরিমানা বাবদ ওই রোগিনীকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া ওই হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট দুই চিকিৎসককে এত দিন মামলা চালানোর খরচ বাবদ রোগিনীকে অতিরিক্ত ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।

সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছর ৩২র ওই মহিলার নাম পদ্মাবতী। তিনি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন পদ্মাবতী। একই হাসপাতাল থেকে তাঁর অ্যাপেনডিক্স বাদ দেওয়ার অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। কিন্তু অস্ত্রোপচার সফল হলেও পর দিন থেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে তাঁকে ব্যথা উপশমের সামান্য কয়েকটি ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর বেশ কয়েক বছর ধরে মাঝে মাঝেই পেটে ও পিঠে যন্ত্রণা হত ওই মহিলার। আগের ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খেয়েও যখন কোনও সুরাহা হয়নি, তখন শেষমেশ ২০১০ সালে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের শরণাপন্ন হন তিনি।

Advertisement

সেখানেই পরীক্ষায় ধরা পড়ে, মহিলার পেটের মধ্যে ৩.২ সেন্টিমিটারের আস্ত একটি সূচ গেঁথে রয়েছে! সূচটি অস্ত্রোপচার করে বের করতে হয়। এর পর সুস্থ হয়েই আগের হাসপাতালের নামে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই মামলার ১৪ বছর পরে মহিলার পক্ষে রায় দিল আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement