বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিমানবন্দর। ছবি: এক্স (পূর্বতন টুইটার)।
মুম্বইয়ে টানা বৃষ্টির কারণে থমকে গিয়েছে বিমান পরিষেবা। রবিবারও বাতিল হয়েছে একাধিক বিমান। এর পরেই যাত্রীদের পুরো ভাড়া ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
২১ জুলাই ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে মুম্বই বিমানবন্দর। বিমান ওঠা এবং নামা কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে বাতিল করতে হয়েছে একাধিক বিমান। এই ঘটনার পর বিকেলে বিমানসংস্থার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াতের পুরো ভাড়াই ফেরত দেবে এয়ার ইন্ডিয়া। কেউ যদি রিফান্ডের বদলে নতুন করে বিমানের টিকিট কাটতে চান, থাকছে সেই সুযোগও। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই নয়াদিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকো সফরে ৩০ ঘণ্টা দেরি হওয়ার কারণে ২২৫ জন যাত্রীকে পুরো ভাড়া ফেরত দিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। রবিবারও ফের একই পথে হাঁটল উড়ান সংস্থা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না মুম্বইয়ের! লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বাজার থেকে রেললাইন, সাবওয়ে থেকে সড়কপথ, উপকূল থেকে বিমানবন্দর— জল থইথই সবই। অবিরাম বৃষ্টিতে নিত্য দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত দু’দিনে অন্ধেরী সাবওয়ে বারবার জলমগ্ন হয়ে পড়ায় প্রবল যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। একই রকম জল থইথই অবস্থা মুম্বই বিমানবন্দরেরও। শনিবার থেকেই উত্তাল আরব সাগর। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টাতেও মুম্বই সংলগ্ন সাগরে ৪.২৪ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। বৃষ্টির জেরে প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবায়। জলে ডুবে রয়েছে একাধিক রেললাইন। জোয়ারের জল ঢুকে পড়েছে চুনাভট্টি ট্র্যাকে। ফলে সেন্ট্রাল, ওয়েস্টার্ন এবং হারবার লাইনে দেরিতে চলছে একাধিক ট্রেন। এ ছাড়া, সময়সূচি বদলাতে হয়েছে দূরপাল্লার বেশ কিছু ট্রেনের। কিন্তু বৃষ্টির হাত থেকে যে আপাতত কোনও নিস্তার নেই, তা জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বরং বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই চিন্তা বেড়েছে মুম্বইবাসীর। এমনিতে বেশির ভাগ এলাকায় জল নামেনি, তার মধ্যে আবার ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় ত্রস্ত তাঁরা। মুম্বই এবং ঠাণে— এই দুই জেলায় আগে থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে মধ্য মহারাষ্ট্রে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছিল মৌসম ভবন। চলতি সপ্তাহের শেষেও তা জারি রইল।