—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুলবাস থেকে নেমে নিজের বাড়ির দিকে এগোচ্ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রটি। তবে বাড়িতে পৌঁছতে পারেনি সে। অভিযোগ, তাকে পিষে দিয়ে এগিয়ে যায় স্কুলবাসটি। ঘটনাস্থলে নাবালকের মৃত্যু হলে বাসের বাকি পড়ুয়াদের ছেড়ে চম্পট দেন চালক। চোখের সামনে সহপাঠীর এই দুর্ঘটনায় চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে বাকি পড়ুয়ারা। তা শুনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে ছেলের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান মৃতের মা। বৃহস্পতিবারের বেঙ্গালুরু গ্রামীণ এলাকার এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ওই চালকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
শনিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে বেঙ্গালুরু (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ অনেকাল এলাকায় স্কুলবাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় চিত্রশিল্পী চন্দ্রা সিংহের বড় ছেলে দিব্যাংশ সিংহ (৮)-এর। অভিযোগ, নিজের স্কুলের বাস থেকে নেমে বাড়ির পথে হেঁটে যাওয়ার সময় দিব্যাংশকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে পিষে দেন সেটির চালক মহাদেব। এর পর আতঙ্কিত পড়ুয়াদের বাসে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। সে সময় স্কুলবাসে আরও ১০ জন পড়ুয়া ছিল। চালকের অনবধানতাবশত এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, অতিবেলে এলাকায় একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প়ড়়ুয়া ছিল দিব্যাংশ। রোজকার ক্লাসের পর দিব্যাংশ-সহ কয়েক জন প়ড়ুয়াদের জন্য টিউশনের বন্দোবস্ত করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই টিউশন সেরে অন্যান্য সহপাঠীর সঙ্গে স্কুলবাসে করে বাড়ি ফিরছিল সে। তবে বাড়ির অদূরেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘দিব্যাংশের আগে বাস থেকে নেমেছিল চার জন পড়ুয়া। দুর্ঘটনার পর প্রায় ২০০ মিটার বাস চালিয়েছিলেন অভিযুক্ত চালক। এর পর ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন।’’