২৪ ঘণ্টা পুলিশি নজরদারিতে থানায় জমা রয়েছে কোটি কোটি টাকা। প্রতীকী ছবি।
নাকা চেকিংয়ের সময় দু’গাড়ি ভর্তি কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তা নিয়ে আসা হয়েছিল থানায়। তবে বেঙ্গালুরুর থানায় জমে ওঠা টাকার পাহাড় পাহারা দিতে এখন রাতের ঘুম ছুটেছে এক পুলিশ আধিকারিকের। তাঁর উপরেই দায়িত্ব বর্তেছে ৪ কোটি ৭ লক্ষ নগদ টাকা পাহারা দেওয়ার।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কর্নাটকের বেঙ্গালুর গ্রামীণ এলাকার হেব্বাগোডীতে শুক্রবার নাকা চেকিংয়ের সময় দু’টি গাড়িতে করে কোটি কোটি নগদ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখানে ডিউটিতে ছিলেন হেব্বাগোডী ফাঁড়ির পুলিশ ইনস্পেক্টর বি আইয়ান্না রেড্ডি এবং পুলিশকর্মীরা। তল্লাশির সময় বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হওয়ায় গাড়ির লোকজনের দাবি ছিল, বেঙ্গালুরু থেকে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে হেব্বাগোডী, অনেকল, চান্দাপুর-সহ নানা এলাকার এটিএমের জন্য তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও পুলিশের দাবি, ওই টাকার প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখাতে পারেননি গাড়ির লোকজন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গাড়ির গায়ে একটি ‘কিউআর কোড’যুক্ত একটি স্টিকার লাগানো বাধ্যতামূলক ছিল। তাতে টাকার তথ্য থাকা উচিত। তবে ওই গাড়িটিতে সেটি ছিল না। এর পর দু’গাড়ি টাকা হেব্বাগোডী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযানের খবর পেয়ে হেব্বাগোডী থানায় গিয়ে নথিপত্র খতিয়ে দেখেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। তবে এ নিয়ে ক্যাশ রিড্রেসাল কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তত দিনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নজরদারিতে থানায় জমা থাকবে কোটি কোটি টাকা। আপাতত এই দায়িত্বে থানায় রাত জাগছেন ইনস্পেক্টর বি আইয়ান্না রেড্ডি।