কাবেরী জল বন্টনকে কেন্দ্র করে বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভ। ছবি পিটিআই।
কাবেরীর জলের ‘বড় অংশ’ তামিলনাড়ুকে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তুলে কর্নাটকে জোড়া বন্ধের ডাক দিল সে রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার রাজধানী বেঙ্গালুরু এবং শুক্রবার গোটা কর্নাটকে বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ওই জোড়া ধর্মঘটের জেরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে কন্নড় রাজনীতিতে। সে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে কর্নাটকের কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে।
অগস্টের গোড়ায় তামিলনাড়ু সরকার কর্নাটক থেকে প্রতিদিন কাবেরীর ২৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার জন্য আদালতে আর্জি জানায়। তার পর আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় কর্নাটক সরকারও। তার আগে কর্নাটক সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, তামিলনাড়ুর কাবেরী উপত্যকায় পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে এবং চাষাবাদের সুবিধার্থে তারা কিছু পরিমাণ জল ছাড়তে প্রস্তুত। কিন্তু কর্নাটক যে পরিমাণ জল ছাড়ার কথা জানিয়েছিল, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি তামিলনাড়ু।
এর আগে ‘কাবেরী জল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ কর্নাটক সরকারকে কাবেরীর ১০ হাজার কিউসেক জল তামিলনাড়ুকে দিতে বলেছিল। কিন্তু এই ‘কৃষকদের স্বার্থে’ এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানায় কর্নাটক। স্বল্প বৃষ্টির কারণে এমনিতেই কর্নাটকের জলাধারগুলিতে জলাভাব দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কৃষকদের স্বার্থ না দেখে দলীয় স্বার্থ দেখার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি, জেডিএস-এর মতো কর্নাটকের বিরোধী দলগুলি। কাবেরী জলবন্টন নিয়ে আলোচনা করতে সর্বদল বৈঠকও করেছে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার।
কাবেরী নদীর জলবন্টন নিয়ে তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকের বিবাদ অবশ্য নতুন নয়। দক্ষিণ ভারতের এই নদীটির কর্নাটকে উৎপত্তি। তার পর তামিলনাড়ুতে ঢুকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে গোদাবরী, কৃষ্ণার পর দক্ষিণ ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নদী কাবেরী। প্রসঙ্গত, কর্নাটকে কংগ্রেস এককভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন শাসকজোটের শরিক কংগ্রেস।