ফাইল ছবি
ভারতে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচিতে পিছিয়ে পড়ছেন মহিলারা। কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন অ্যাপ মারফত পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের টিকাকরণ হয়েছে ১৭ শতাংশ কম। এখনও পর্যন্ত টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ পুরুষ। এর মধ্যে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কেবলমাত্র কেরল ও ছত্তীসগঢ়ে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের টিকাকরণের হার বেশি। পশ্চিমবঙ্গেও টিকাকরণের দিক থেকে এগিয়ে পুরুষরা। পশ্চিমবঙ্গে টিকাপ্রাপ্তদের ৫৬ শতাংশ পুরুষ, ৪৪ শতাংশ মহিলা।
গুজরাতের এক স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘পুরুষরা যে হেতু কাজের সূত্রে অনেক বেশি পরিমাণে বাইরে যান, তাই তাঁদের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতাও বেশি। মহিলাদের বেশির ভাগ বাড়িতে থাকেন, তাই তাঁদের মধ্যে টিকা নেওয়ার তেমন কোনও প্রবণতা নেই।’’ পাশাপাশি, স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, মহিলাদের গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে, এমন গুজব রটে যাওয়ার পরেও করোনার টিকাকরণে মহিলার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য কমেছে। অনেকের পারিবারিক সমস্যাও আছে। গুজরাত-রাজস্থান সীমানায় বেশ কয়েক জন মহিলা প্রশাসনকে যেমন লিখিত ভাবে বলেছেন, তাঁদের পারিবারিক সমস্যার কথা। তাঁদের বাড়িতে ছোট সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানকে ফেলে হাসপাতালের টিকাকরণ কেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই তাঁরা আবেদন করেছেন, বাড়িতে টিকা পৌঁছে দিতে।
কেন্দ্রর তরফে বলা হয়েছে, টিকার বিষয়ে আরও বেশি করে সচেতনামূলক অভিযান শুরু করা হয়েছে গ্রামীণ ভারতে। টিকা নিলে কোনও সমস্যা হয় না, বরং রোগ থেকে নিরাপদ থাকা যায়— এই কথাটি মানুষের মনে ঢোকাতে পারলেই সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।