ছবি: সংগৃহীত।
দেশে তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারের দাবিতে পদক্ষেপেও কি ঢুকে পড়ছে রাজনীতির সমীকরণ?
শনিবার ট্রান্সজেন্ডার তথা রূপান্তরকামী-রূপান্তরিতদের জাতীয় পরিষদ বা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ট্রান্সজেন্ডার পার্সনস গড়ার সঙ্গে-সঙ্গে এ রাজ্যের রূপান্তরকামী নরনারীদের মধ্যেও ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এই কাউন্সিলে বাংলার কাউকে কেন রাখা হল না, তা নিয়ে রূপান্তরকামী সমাজকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন। রূপান্তরকামী নারী তথা সমাজকর্মী রঞ্জিতা সিংহের কথায়, ‘‘রূপান্তরকামী বা তৃতীয় লিঙ্গের অধিকারের জন্য বাংলার দীর্ঘ লড়াই মনে রাখা হল না।’’
কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের গড়া কাউন্সিলটি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ মানছেন না কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। সরকারি সূত্রের দাবি, পর্যায়ক্রমে সকলেই এই কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাবেন। পশ্চিমবঙ্গেরও সময় আসবে। আপাতত কাউন্সিলটিতে উত্তর দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর-পূর্বের একটি করে রাজ্যের প্রতিনিধি থাকছেন। এ ছাড়া, রূপান্তরকামী প্রতিনিধি বা তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের অধিকারের জন্য সক্রিয় সমাজকর্মীদের মধ্যেও বাংলার কেউ নেই। তবে কাউন্সিলের সদস্য ট্রান্সনারী তথা সমাজকর্মী লক্ষ্মীনারায়ণ ত্রিপাঠীর দাবি, ‘‘কমিটিতে পক্ষপাতিত্ব নেই। বিজেপি-অবিজেপি নির্বিশেষে বিহার, ওড়িশা, কেরল, গুজরাত, ত্রিপুরা, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাডুর প্রতিনিধির বা সমাজকর্মীরা থাকছেন।’’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৩ হাজারের বেশি, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হারও
হিন্দু রূপান্তরকামীদেরএকটি সংগঠনেরও নেত্রী লক্ষ্মী। তবে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে কাউন্সিলে পশ্চিমবঙ্গের উপস্থিতি না-থাকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।সর্বোচ্চ আদালতের নালসা রায় ও ২০১৯এর রূপান্তরকামীদের সুরক্ষা আইনেই এই কাউন্সিল গড়ার কথা হয়েছিল। রূপান্তরকামীদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় দফতরের মধ্যে সমন্বয় রেখে তা তৈরি হয়েছে।