ফাইল চিত্র।
শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথ মন্দিরের বছরের প্রথম রবিবারের নিরিখে ভিড়টা দারুণ বেশি বলা যায় না মোটেও। মন্দিরে উৎকল সরকারের নেতৃত্বাধীন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তথা প্রবীণ সেবায়েত রামচন্দ্র দয়িতাপতির মতে, এমন রবিবারে দু'লক্ষ ভক্তের জমায়েতও হয় পুরীতে। সেই তুলনায় ভিড় হালকা। তবে মন্দিরনগরী ছন্দে ফিরছে। এর থেকে আনন্দের কিছুই নেই।
স্থানীয় প্রশাসনের মতে, কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র দেখিয়ে এ দিন কমবেশি আড়াই-তিন হাজার দর্শনার্থী মন্দিরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু শ্রী মন্দিরের বাইরে সিংহদ্বারের সামনে ছিলেন অন্তত আরও দশ হাজার জন। তাঁরা পতিতপাবন মূর্তি দর্শন সেরে দূর থেকে প্রণাম করেন। ভক্তদের সুশৃঙ্খল ভাবে মন্দিরের উত্তর দিকের হাতি দ্বার দিয়ে বের করা হয়।
এ দিনই জগন্নাথ দর্শনে এসেছিলেন বাংলার দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। ভোটের বছরে বাংলা থেকে নেতানেত্রীদের ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জগন্নাথ মন্দিরে। জগন্নাথদেবের প্রবীণ সেবায়েত তথা বড়গ্রাহী জগন্নাথ দয়িতাপতির সঙ্গে সুজিতবাবুর দেখাও হয়েছে।
এ দিন থেকেই পুরীর বাইরের ভক্তদের জগন্নাথ-দর্শন শুরু হল। আস্তে আস্তে ভক্তদের ভিড় বাড়বে বলে আশা স্থানীয় প্রশাসনেরও। পুরীর প্রবীণ হোটেল কর্তা শঙ্করনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, বাংলা থেকে আসা পর্যটকেরা অনেক দিন ধরেই জগন্নাথ দর্শনের খুঁটিনাটি জানতে চাইছিলেন। অনেক হোটেলই, বর্ষবরণ ও নতুন বছরের দিনে পুরোপুরি ভর্তি ছিল। এখনও গড়পড়তা ৫০-৬০ শতাংশ পরিপূর্ণ পুরীর হোটেল। শঙ্করবাবুর কথায়, "চমৎকার আবহাওয়া। লোকে আসছে! বছরটা আশাতেই শুরু হল!"