ফাইল ছবি
আত্মহত্যার আগে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে চিঠি লিখেছিলেন দাদরা ও নগর হাভেলি-র সাংসদ মোহন দেলকর। কিন্তু জবাব পাননি। মোদী-শাহ জবাব দিলে হয়তো আত্মহত্যা রুখে দেওয়া যেত। সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই অভিযোগ করল কংগ্রেস।
ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখে দাদরা ও নগর হাভেলি-র ৭ বারের সাংসদ মোহনের দেহ উদ্ধার হয় মুম্বইয়ের একটি হোটেল থেকে। গত সপ্তাহে পুলিশ প্রফুল্ল খেদা প্যাটেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে মুম্বই পুলিশ। কংগ্রেস বলছে, শুধু প্রফুল্ল নন, বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের দুর্ব্যবহারের কারণেই হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন মোহন।
শনিবার মুম্বইয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস নেতা সচিন সাওয়ান্ত বলেন, ‘‘বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের দুর্ব্যবহারের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন মোহন। এই ঘটনা গণতন্ত্রের এক করুণ পরিণতি।’’
কয়েকটি চিঠির উল্লেখ করে সচিনের দাবি, ‘‘আত্মহত্যার আগে মোহন বেশ কয়েকটি চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তাঁদের সাহায্য চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত ছিল মোহনকে সাহায্য করা। প্রশ্ন এখানেই যে তাঁরা কি ইচ্ছা করে মোহনের চিঠি এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন?’’
চিঠিতে কী জানাতে চেয়েছিলেন মোহন? সচিন সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, দাদরা ও নগর হাভেলির প্রশাসক প্রফুল্ল খেদা প্যাটেল নানাভাবে তাঁকে অপমান করতেন ও দমিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন। সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। সেই বিষয়েই হয়তো লিখেছিলেন চিঠিতে। চিঠির তারিখ উল্লেখ করে সচিনের মন্তব্য, ‘‘গত বছর ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখ ও এই বছর ৩১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে দু’টি চিঠি পাঠান মোহন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি লেখেন। এ ছাড়া লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ভুপেন্দ্র যাদবকেও চিঠি লিখেছিলেন মোহন। একটি চিঠিরও উত্তর পাননি তিনি।’’
মোহনের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব ও প্রফুল্ল খেদা প্যাটেলকে নিশানা করে অভিযোগ কংগ্রেস প্রথম থেকেই করে আসছে। এর আগেও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের মুখপাত্র সচিন বলেছিলেন, পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থাদের দিয়ে নিয়মিত নাজেহাল করা হচ্ছে মোহনকে। অভিযুক্ত হিসাবে প্রফুল্ল খেদা প্যাটেলের নাম তখনও উচ্চারণ করেছিলেন তিনি।