প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নোট বাতিলের ঘোষণার প্রায় দু’মাস পর আবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।বছর ফুরনোর আগেই, সম্ভবত শনিবার সন্ধ্যায়। তাঁর ঘোষণার পর পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য ৫০ দিনের সময়সীমার মেয়াদ ফুরোচ্ছে আগামী কাল, শুক্রবার। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রের খবর, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর বাজারে সহজে পর্যাপ্ত পরিমাণে নতুন নোট পাওয়া আর তার মাধ্যমে যাবতীয় আর্থিক লেনদেনকে সহজতর করতে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা ঘোষণা করা হতে পারে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যে সাময়িক কিছু বাধার সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার জন্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে, তারও রূপরেখা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর গত নভেম্বরের ঘোষণার জেরে ওই সময় চালু নোটের ৮৬ শতাংশই বাজার থেকে উঠে যায়। তার ফলে, বাজারে পর্যাপ্ত নোটের দারুণ অভাব দেখা দেয়। শহরে তো বটেই, দূর-দূরান্তের গ্রামাঞ্চল আর দুর্গম পাহাড়ি ও দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সেই অভাব চরমে পৌঁছয়। দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখার অপ্রতুলতা আমজনতার ভোগান্তিকে নিয়ে যায় প্রায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে। যার ‘ফাঁস’ থেকে দেশের বড় একটা অংশের মানুষ এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি। গত কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও নতুন নোটের জন্য এখনও ব্যাঙ্কের এটিএম শাখাগুলির সামনে গ্রাহকদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- পুরনো নোট রাখলেই এ বার শাস্তি
বিশেষজ্ঞদের আশা, প্রধানমন্ত্রীর শনিবারের সম্ভাব্য ভাষণ হয়তো আমজনতাকে দীর্ঘ অন্ধকার সুড়ঙ্গে ‘আলো’ দেখাবে। ৩০ ডিসেম্বরের পর কারও কাছে ১০টির বেশি পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট থাকলে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিতে হবে বলে সরকার যে ঘোষণা করেছিল, তার কোনও রদবদল হল কি না, হয়তো সে ব্যাপারেও এ বার কিছু জানাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।