Beer

প্রবল গরমে বিয়ার বিক্রিতে বাংলা এগিয়ে থাকলেও অর্ধেকে নেমে যায় দিল্লিতে, কারণ বেশ গুরুতর

এ বার মে মাসে ৮৩ লক্ষ লিটার বিয়ার বিক্রি হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। গত বছর মে মাসে যা ছিল ১৭৩ লক্ষ লিটার। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় মে মাসে দিল্লিতে বিয়ার বিক্রি কমেছে ৫২ শতাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ১৬:৫৬
Share:

— প্রতীকী ছবি।

প্রবল গরমে বিয়ারের বিক্রি বাড়বে, সেটাই দস্তুর। দিল্লি-সহ উত্তর ভারত এ বার প্রবল গরমের সাক্ষী হয়েছে। অথচ তেতেপুড়ে ওঠা দিল্লিতে বিয়ারের বিক্রি কমেছে লক্ষণীয় ভাবে! কিন্তু দিল্লির প্রতিবেশী সমস্ত রাজ্যে বিয়ারের বিক্রি পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে। বাংলাতেও চাহিদার জোগান দিয়ে হিমশিম খেয়েছেন মদের দোকানিরা। দিল্লির হল কী!

Advertisement

দিল্লির কি বিয়ারে অরুচি? গ্রীষ্মে বিক্রি হওয়ার মদের হিসাব অন্তত সে রকমই ইঙ্গিত করছে। জানা গিয়েছে, এ বার মে মাসে ৮৩ লক্ষ লিটার বিয়ার বিক্রি হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। গত বছর মে মাসে যা ছিল ১৭৩ লক্ষ লিটার। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় মে মাসে দিল্লিতে বিয়ার বিক্রি কমেছে ৫২ শতাংশ। যা দেখে অবাক পানীয় শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা।

প্রবল গরমে শরীর ঠান্ডা করতে অনেকের কাছেই বিয়ারের জুড়ি নেই। খোদ দিল্লিতে গত বছর মে মাসে যে পরিমাণ বিয়ার বিক্রি হয়েছিল, তাকেই স্বাভাবিক বলে মানতে চান অনেক বাজার বিশেষজ্ঞই। সেই তুলনায় এ বছর বিক্রি প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি বিয়ার খেতে চাইছেন না দিল্লিবাসী?

Advertisement

দিল্লির আবগারি দফতর অবশ্য বিয়ার কম বিক্রি হওয়ার পিছনে আবহাওয়াকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের একটি অংশের দাবি, প্রবল গরমের কারণেই অনেকে বিয়ার খেতে চাইছেন না। এর ফলে বিয়ার বিকোচ্ছে কম। আবার তাঁদেরই একটি অংশ বিকল্পের অভাবের কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, দোকানে পছন্দ করে বিয়ার কেনার মতো পরিস্থিতি ছিল না দিল্লিতে। কারণ বিয়ারের বেশির ভাগ বিকল্পই দিল্লিতে অমিল। আবার একটি অংশের দাবি, দিল্লির তুলনায় হরিয়ানা বা উত্তরপ্রদেশে বিয়ারের দাম কম। ফলে অনেকেই দিল্লির দোকানে লাইন না দিয়ে হরিয়ানা বা উত্তরপ্রদেশ থেকে আনা বিয়ারের উপরেই ভরসা রাখছিলেন।

পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লিতে মে মাসের বিয়ার বিক্রি গত বছরের তুলনায় অর্ধেক হলেও পাশ্ববর্তী হরিয়ানা বা উত্তরপ্রদেশে বিক্রি বেড়েছে। তবে প্রবল গরমের কারণে যে দিল্লিবাসীর মধ্যে মদ জাতীয় পানীয় কেনার ইচ্ছে কমেছে, তা কিন্তু বলছেন অনেক দোকানদারই। যদিও এই হিসাবকে পোক্ত করার মতো পরিসংখ্যান কারও হাতেই নেই।

বাংলাতেও বিয়ারের বিক্রি লক্ষণীয় ভাবে বেড়েছে। মে মাসে একটা সময় পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, বিয়ারের ক্ষেত্রে রেশনিংয়ের পথে যেতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। অর্থাৎ, চাহিদা বিপুল বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বিয়ারই তুলতে পারছিলেন দোকানদাররা। গত কয়েক বছর ধরেই এই রাজ্যে ধারাবাহিক ভাবে বিয়ারের বিক্রি বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে। এ বছরই নয়, অতীতেও গ্রীষ্মে দোকানদারদের বিয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের নীতি নিতে হয়েছিল আবগারি দফতরকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement