অস্থায়ী সেতুর একটি অংশ হাওয়ায় ভেসে চলে যায় মাঝগঙ্গায়। — ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
সেতু বিপর্যয় পিছু ছাড়ছে না বিহারের। সাম্প্রতিকতম ঘটনা সেই গঙ্গার উপরেই। এ বার বৈশালী জেলায় গঙ্গার উপর অস্থায়ী সেতু ভেসে গেল হাওয়ার ঝাপটায়। সেতুটি ভাগলপুরের সঙ্গে খাগাড়িয়ার যোগাযোগ স্থাপন করত।
বুধবার, এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী রইলেন বৈশালী জেলার মানুষ। তাঁরা নিজের চোখে দেখলেন, হাওয়ার তোড়ে ভেসে গেল একটি আস্ত ব্রিজ। সকালে নদীর পাড়ে গিয়ে হতবাক হয়ে যান স্থানীয়েরা। যে অস্থায়ী সেতুর উপর দিয়ে নদী পারাপার করেন তাঁরা, তার একটি অংশ মাঝগঙ্গা দিয়ে ভাসতে ভাসতে চলেছে! জানা যায়, দমকা হওয়ার দাপটেই সংযোগ খুলে যায় অস্থায়ী সেতুর। তার পরেই হাওয়ার তোড়ে ভেসে যায় ওই অংশের সেতু। এর ফলে গঙ্গা পেরোতে গিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নৌকাভাড়া রাতারাতি আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ভেসে যাওয়া অংশটিকে টেনে এনে মূল সেতুর সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন সরকারি আধিকারিকেরা।
তবে এই প্রথম নয়, শুধুমাত্র জুন মাসেই বিহারে তিন-তিনটি সেতু বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে গত ৩ জুন। গঙ্গার উপরে ১,৭১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান একটি ‘ফোর লেন’ সেতু ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, গত ১৪ মাসের মধ্যে এই ব্রিজটি ভাঙল দু’বার। এই সেতুটি ভাগলপুরের সুলতানগঞ্জের সঙ্গে খাগাড়িয়া জেলার আগুয়ানি ঘাটের যোগাযোগ স্থাপন করত। প্রসঙ্গত, সেই নির্মীয়মান সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়েছিল গত বছরের ৩০ এপ্রিল।
গত শুক্রবার, কিসানগঞ্জ জেলায় জাতীয় সড়কে গোরিচাকে মেচি নদীর উপর একটি নির্মীয়মান সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে। এই ব্রিজটি কিসানগঞ্জের গললিয়ার সঙ্গে আরারিয়ার যোগাযোগ স্থাপন করবে। এই ঘটনায় দুই ইঞ্জিনিয়ার-সহ চার জনকে সাসপেন্ড করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই এ বার বৈশালী জেলায় ভেসে গেল গঙ্গার উপর থাকা অস্থায়ী সেতুর অংশ।