বছরে এক বারই বেড চার্জ বাড়াতে পারবে বেসরকারি হাসপাতাল। ফাইল চিত্র
বেসরকারি হাসপাতালে বেড চার্জ না বাড়ানোর যে নির্দেশিকা ছিল, তা তুলে নেওয়া হল। তবে বেড চার্জ বাড়ানোয় কিছু বিধিনিষেধ-সহ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য কমিশন।
একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে বিনা পয়সায় পরিশ্রুত পানীয় জল দিতে হবে, জলের জন্য টাকা নেওয়া যাবে না বলে জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান। এ সব বিষয় নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের জন্য মোট চারটি নির্দেশিকা জারি করছে স্বাস্থ্য কমিশন।
কোভিডের সময় বেসরকারি হাসপাতালের বেড চার্জে লাগাম পরাতে, ১ মার্চ ২০২০ তারিখে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোভিডের সুযোগ নিয়ে হাসপাতালগুলি যাতে অহেতুক বেড চার্জ না বাড়াতে পারে তার জন্যই ওই নির্দেশিকা বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান। এখন যে হেতু কোভিডের বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল, তাই বেড চার্জ বাড়ানোর উপরে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিল স্বাস্থ্য কমিশন।
তবে বছরে এক বারই বেড চার্জ বাড়াতে পারবে বেসরকারি হাসপাতাল। সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে বেড চার্জ বাড়াতে পারবে।
অনেক জায়গায় ক্রিটিক্যাল কেয়ারে থাকা রোগী বা প্রায় কোমায় থাকা রোগীর কাছ থেকে ৫০-১০০ লিটার জলের দাম নেওয়া হয়েছে বলে কমিশনের পর্যবেক্ষণ। তাই কমিশন এই নিয়ম জারি করে জানাল, হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে পরিশ্রুত জল সরবরাহ করতে হবে। তবে কোনও রোগী যদি বোতলের জল কিনতে চান, সে ক্ষেত্রে আলাদা দাম নেওয়া যাবে।
এ ছাড়াও সাধারণ শয্যার থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে বেড চার্জ স্বাভাবিক ভাবেই বেশি হয়। কারন, সেখানে রোগীর প্রতি অতিরিক্ত নজরদারি ও পরিষেবা দিতে হয়। তার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছেন আরএমও। আরএমও-র জন্য পৃথক চার্জ নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। অনেক হাসপাতাল আরএমও-র জন্য পৃথক চার্জ নিচ্ছে। তাই আরও একটি নির্দেশিকা জারি করে সতর্ক করে দেওয়া হবে বলে জানায় কমিশন।
বেসরকারি হাসপাতাল ক্রিটিক্যাল কেয়ারের রাইলস টিউব লাগানো বা সেন্ট্রাল লাইন করার মতো আবশ্যিক রুটিন প্রক্রিয়ায় আলাদা চার্জ করতে পারবে না। বেড চার্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেরা ঠিক করতে পারেন, কিন্তু এগুলির জন্য আলাদা চার্জ করতে পারবে না বলে জানান তিনি। এ বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে এ-ও বলা হয়েছে, ক্রিটিক্যাল কেয়ারে কী কী দেওয়া হবে, তা পরিষ্কার ভাবে রোগীর পরিবারকে আগে জানিয়ে দিতে হবে। তবে ভেন্টিলেশন, কেমো-র মতো পরিষেবা এই রুটিন প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়বে না বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান।