ছবি পিটিআই।
দিল্লির রাজপথের আশেপাশের এলাকা ঢেলে সাজানো শুরু হলে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। সংসদে প্রশ্নের মুখে এই নতুন যুক্তি দিল মোদী সরকার। নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর বক্তব্য, এই প্রকল্প অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
করোনা পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নগদ টাকা দিতে পারছে না কেন্দ্র। রাজ্যগুলির পাওনাও বাকি। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, টাকা নেই। সংসার চলছে ধার করে। এই পরিস্থিতিতে ২০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিল্লির রাজপথের আশেপাশের এলাকা বা ‘সেন্ট্রাল ভিস্টা’ সাজানোর কী প্রয়োজন, সেই প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। আজও তৃণমূল সাংসদ মালা রায় প্রশ্ন করেছিলেন, অর্থনীতির বেহাল দশার মধ্যে এই প্রকল্পের যৌক্তিকতা কী? তাতেই হরদীপের যুক্তি, এই প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।
সেন্ট্রাল ভিস্টা পুনর্গঠন প্রকল্পে নতুন সংসদ ভবন তৈরির জন্য ৯৭১ কোটি টাকা খরচ ধরেছিল কেন্দ্র। ৮৬১.৯১ কোটির দরপত্রে সেই বরাত পেয়েছে টাটা প্রোজেক্টস। হরদীপ জানান, ৯৩ বছর বয়সি বর্তমান সংসদ ভবনে এখনকার চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধে, সাংসদদের পৃথক ঘর বা দফতরের জায়গা নেই। কারণ, দুই কক্ষের সংসদের জন্য ভবনটি তৈরি হয়নি। কৃষি ভবন, উদ্যোগ ভবনের মতো অন্যান্য সরকারি দফতরের বয়সও পঞ্চাশ পেরিয়েছে। সেখানেও কাজের জায়গা, পার্কিং লটের অভাব। এই জন্যই অভিন্ন কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের পরিকল্পনা। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত সেন্ট্রাল ভিস্টা নয়াদিল্লির প্রধান বুলেভার্ড ও পর্যটন কেন্দ্র হলেও সেখানেও পার্কিং, শৌচালয়ের অভাব। গুজরাতের একটি সংস্থা গোটা প্রকল্পের নকশা তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: অনড় সরকার পক্ষ, বয়কটে বিরোধীরা, সংসদের পরে আন্দোলন রাজ্যে
আরও পড়ুন: বিরোধীহীন লোকসভায় পাশ শ্রম বিল