গণধর্ষণের প্রতীকী চিত্র।
স্বামী রয়েছেন জেলে। সেই সুযোগে স্বামীর চার বন্ধু গণধর্ষণ করল এক মহিলাকে। ধর্ষণের পর ওই মহিলার গলা কাটারও চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। কিন্তু কোনও মতে তাদের হাত থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন নির্যাতিতা মহিলা। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে। ঘটনার দু’দিন পর রবিবার পুলিশের কাছে ওই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা।
পুলিশের কাছে অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তিনি যখন বাড়িতে একা ছিলেন তখন বাড়িতে আসেন তাঁর স্বামীর চার বন্ধু। তাঁরা সকলেই ওই মহিলার প্রতিবেশী। বাড়িতে ঢুকে পড়ে তাঁর মাথায় বন্দুক ধরে অত্যাচার চালান অভিযুক্তরা। তার পর তাঁর গলার নলি কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও মতে অভিযুক্তদের খপ্পর থেকে নিজেকে মুক্ত করে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তখনই পালিয়ে যান স্বামীর বন্ধুরা। যাওয়ার আগে পুলিশে অভিযোগ না করার হুমকি দিয়েছিলেন তাঁরা।
রবিবার নির্যাতিতা মহিলা আরকে ভাটিয়া নামে বরেলি জেলার এক উচ্চপদস্থ অফিসারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। ওই অফিসার সিরৌলি পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার সঞ্জয় গর্গকে গোটা বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে গর্গ বলেছেন, ‘‘চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মহিলাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। ওই চার অভিযুক্ত মহিলার স্বামীর পরিচিত।’’
নির্যাতিতা মহিলার স্বামী এখন মোরাদাবাদ জেলা আদালতে বন্দী। চরস পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। ওই মহিলার অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের একজন তাঁর স্বামীকে চরস পাচারের ঘটনায় ফাঁসিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ৬৩ জন ধনকুবেরের সম্পদ দেশের বাজেটের বেশি! বলছে রিপোর্ট
আরও পড়ুন: নির্ভয়া কাণ্ডের সময় নাবালক ছিল না, পবনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে