নোট বাতিলের পরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে ৫০ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩০ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। কিন্তু তার পরেও টাকা তোলার উপরে বিধিনিষেধ চালু থাকতে পারে বলেই মনে করছেন ব্যাঙ্ক কর্তারা।
নোট বাতিলের পরে চালু নিয়ম অনুযায়ী আপাতত ব্যাঙ্ক থেকে সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকা তুলতে পারেন গ্রাহকরা। এটিএম থেকে দৈনিক আড়াই হাজার টাকা। কিন্তু নোটের অভাবে অনেক সময়ই সেই পরিমাণ টাকাও পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন ব্যাঙ্ক কর্তা জানাচ্ছেন, টাঁকশাল ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নয়া নোটের চাহিদার সঙ্গে তাল রাখতে পারেনি। সেই কারণেই এই আকাল। এক ব্যাঙ্ক কর্তার কথায়, ‘‘জানুয়ারি মাস থেকে টাকা তোলায় বিধিনিষেধ পুরোপুরি তোলা যাবে না বলেই মনে হয়। বড়জোর কিছুটা শিথিল হতে পারে।’’ সম্প্রতি একই ইঙ্গিত দিয়েছেন স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্যও। ব্যাঙ্ক কর্তাদের আশঙ্কা, সে ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থাগুলির চাহিদা মেটানো কঠিন হবে।
তবে আপাতত নোটের যা জোগান, তাতে ব্যাঙ্ক ও গ্রাহকদের স্বার্থেই বিধিনিষেধ আরও কিছু দিন বহাল রাখা ছাড়া উপায় নেই বলেও মনে করেন ব্যাঙ্কের অফিসারদের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরবিন্দ্র সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘নতুন নোটের জোগানের অবস্থা কী তা সকলেই জানেন। তা-ই বিধিনিষেধ আরও কিছু বহাল রাখা ছা়ড়া পথ দেখতে পাচ্ছি না।’’