বিয়ের দু’সপ্তাহের মধ্যেই স্ত্রীকে খুন, খুন শাশুড়িও! — প্রতীকী ছবি।
দু’সপ্তাহ আগেই বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকেই মাথাচাড়া দেয় সমস্যা। সমস্যা সমাধানে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আলোচনা চলাকালীনই স্ত্রী এবং তার পর শাশুড়িকে খুন করার অভিযোগ ব্যাঙ্ককর্মী স্বামীর বিরুদ্ধে। ছেলেকে খুনে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বাবার বিরুদ্ধে। বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার কুর্নুলে।
সুব্বালক্ষ্মী নগরের বাসিন্দা পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী শ্রবণের সঙ্গে মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তেলঙ্গানারই ওয়ানাপার্থির কৃষ্ণবেণী। কিন্তু বিয়ের পরই শুরু গোলমাল। অভিযোগ, কৃষ্ণবেণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। কুর্নুল শহরের ফোর্থ টাউন থানার পুলিশের দাবি, গত মঙ্গলবার সমস্যা সমাধানে ওয়ানাপার্থি থেকে কুর্নুলে মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে আসেন কৃষ্ণবেণীর মা, বাবা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোলমাল মেটাতে পরিবারের সকলে মিলে আলোচনায় বসেন। সেখানেই ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে আলোচনা। তা গড়ায় বচসায়। সেই সময় মেজাজ হারিয়ে শ্রবণ ছুরি বসিয়ে দেন স্ত্রীর শরীরে। তা দেখে ছুটে আসেন কৃষ্ণবেণীর মা রমা দেবী। অভিযোগ, তাঁকেও ছুরি মারেন শ্রবণ। সেই কাজে শ্রবণকে সহায়তা করেন তাঁর বাবা সুব্বাইয়া। তাঁরা দু’জনে মিলে কৃষ্ণবেণীর বাবাকেও আক্রমণ করেন। তিন জনকেই পাঠানো হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা কৃষ্ণবেণী এবং তাঁর মা রমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রমার স্বামী প্রসাদ।
কৃষ্ণবেণী এবং রমার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ শ্রবণ এবং তাঁর বাবা সুব্বাইয়াকে গ্রেফতার করেছে।