Republic Day

প্রজাতন্ত্রের প্যারেডে এ বার বাংলাদেশও

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য ক্ষত মেরামতির জন্য পর্যাপ্ত চেষ্টা সব সময়েই চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:১৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ছায়াপাত করতে পারে, এই আশঙ্কায় কেন্দ্রে মোদী সরকার ঢাকার সঙ্গে ইতিবাচক কূটনৈতিক সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথম বারের জন্য বাংলাদেশ সেনার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ সেনাপ্রধান এম এম নরবণে ঘোষণা করেছেন, একাত্তরের যুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাব পাওয়া সেনাদের গ্রামের মাটি এনে রাখা হবে দিল্লির জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে।

Advertisement

রাজনৈতিক সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে সেখানকার বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ভোটের আগে সীমান্ত সিল করে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আসার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য নেতারা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন, মালদহ-মুর্শিদাবাদের মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ১৪ শতাংশ ভোটার বেড়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। স্বাভাবিক ভাবেই নাম না করে সীমান্তের ও পার থেকে আসা মানুষদের কথাই উল্লেখ করে বিজেপির দাবি, আসন্ন নির্বাচনে তাদের কাজে লাগাবে তৃণমূল।

কূটনীতিকদের মতে, ঘরোয়া রাজনীতির কারণে এই চাপানউতোর চলতেই থাকবে। কিন্তু তার একটি প্রভাব ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কে পড়তে বাধ্য।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য ক্ষত মেরামতির জন্য পর্যাপ্ত চেষ্টা সব সময়েই চলছে। গত মাসেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর চুক্তিপত্রে সই করছে দু’দেশ। প্রকাশিত হয়েছে দীর্ঘ যৌথ বিবৃতি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব আজ জানিয়েছেন, “ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেরও পঞ্চাশ বছর পূর্তি। বাংলাদেশের সেনারা এই উদযাপনকে স্মরণীয় করতে প্রজাতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজ করবেন। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী গত মাসেই ঘোষণা করেছেন, গোটা বছর ধরেই যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং উদযাপন চলতে থাকবে।” ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সেনার ৫০ জনের একটি দল ইতিমধ্যে দিল্লিতে পৌঁছে মহড়া শুরু করেছে।

পাশাপাশি সেনাপ্রধান নরবণে টুইট করে আজ জানিয়েছেন, ‘দিল্লির জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে একাত্তরের যুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাব পাওয়া সেনাদের গ্রাম এবং যে-যে জায়গায় জয় প্রথম করায়ত্ত হয়েছিল, সেখানকার মাটি এনে রাখা হবে।’

তাঁর কথায়, ‘অনেক প্রবীণ তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, একাত্তরের যুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পূর্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের বলতে চাই, যে গোটা বছরটিই সোনালি জয়ের বছর হিসাবে উদযাপিত হবে। দেশ জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement