স্বস্তিতে রামদেব। — ফাইল ছবি।
রামদেবের দিব্য ফার্মেসির উৎপাদিত পাঁচটি ওষুধের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি। আগের নির্দেশিকাকে সংশোধন করে শনিবার নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই ৫টি ওষুধ উৎপাদন জারি রাখতে পারবে রামদেবের সংস্থা।
আগের নির্দেশিকায় যে ভুল হয়েছিল তা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে সরকারি নতুন নির্দেশিকায়। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার আগে আমাদের সংস্থাকে নিজের পক্ষ উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।’’ নোটিস জারির ক্ষেত্রে বাড়তি তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল বলেও নয়া নির্দেশিকায় জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিক।
রামদেবের সঙ্গী বালকৃষ্ণ তার পরেই টুইট করে উত্তরাখণ্ড সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড সরকার যে ভুল স্বীকার করেছে, তা-ও টুইটে লিখেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৯ নভেম্বর, রামদেবের সংস্থার মধুমেহ, রক্তচাপ, গলগণ্ড, গ্লুকোমা এবং উচ্চ কোলেস্টোরলের ওষুধ উৎপাদনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যেই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল।
গত জুলাইয়ে, কেরলের চিকিৎসক কেভি বাবু অভিযোগ করেন, রামদেবের সংস্থা ১৯৫৪-এর ‘ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমিডিস (অবজেক্শেনবল অ্যাডভারটাইজমেন্ট)’ এবং ১৯৪০-এর ‘ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট’ লঙঘন করে এই ওষুধগুলো বিক্রি করে যাচ্ছেন। বাবু গত ১১ অক্টোবর এই মর্মেই আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৯ নভেম্বর ওই ওষুধের উৎপাদন বন্ধের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম থেকে এই সংক্রান্ত সমস্ত বিজ্ঞাপনও বন্ধ করার নির্দেশনামা জারি করে। শনিবার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল উত্তরাখণ্ড সরকার।