murder case

লকডাউনে পরিচয় ফেসবুকে, সেখান থেকে সম্পর্ক, বাঁধন কাটতে চেয়েই কি খুন রায়গঞ্জের বধূ?

‘বিশেষ’ বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সুপ্রিয়ার। পুলিশের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সুপ্রিয়ার সঙ্গে আততায়ীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গভীর হয় গত আড়াই থেকে তিন বছর ধরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২৮
Share:

সুপ্রিয়া দত্তের সেই ‘বন্ধু’কে খুঁজছে পুলিশ। — ফাইল চিত্র।

‘বিশেষ’ বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সুপ্রিয়া দত্ত। এ নিয়ে প্রায় নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। আরও জানা গিয়েছে, সুপ্রিয়ার সেই বন্ধু নিজেও বিবাহিত। তদন্তকারীদের দাবি, বধূ হত্যারহস্যে এমন কিছু তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে যা থেকে স্পষ্ট খুন করেছেন সুপ্রিয়ার সেই বন্ধুই।

Advertisement

তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, সেই বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সুপ্রিয়ার। পুলিশের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সুপ্রিয়ার সঙ্গে আততায়ীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক গভীর হয় গত আড়াই থেকে তিন বছর ধরে। তবে এই সম্পর্ক কত দিনের পুরনো তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ধারণা, লকডাউনের সময় ভিডিও কলের মাধ্যমে দু’জনের যোগাযোগ চলত। তদন্তকারীদের মতে, প্রাথমিক ভাবে সুপ্রিয়া ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন। তবে বাড়ির নজর এড়াতে তিনি স্কাইপির মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। লকডাউনের সময় প্রায় রোজ রাতেই তাঁরা যোগাযোগ রাখতেন। এ নিয়ে সুপ্রিয়ার পরিবারেও অশান্তি তৈরি হয় বলেও পুলিশের ধারণা।

লকডাউন যখন ধাপে ধাপে উঠতে শুরু করে তখন সুপ্রিয়া তাঁর বন্ধুর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করতে শুরু করেন। তবে শেষ দিকে এই সম্পর্ক থেকে সুপ্রিয়া বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর সেই কারণেই হয়তো শুক্রবার শেষ বারের জন্য বন্ধুকে সময় দিতে রাজি হন তিনি। পুলিশ মনে করছে, সাক্ষাতের দিন ক্ষণ জানার পরই সুপ্রিয়াকে খুনের ছক কষে তাঁর ‘বন্ধু’, এমনটা পুলিশের ধারণা। সেই কারণেই সে ধারালো অস্ত্র নিয়েই সুপ্রিয়ার বাড়িতে ঢোকে। এর পর সুযোগ বুঝে সুপ্রিয়াকে খুন করে গা ঢাকা দেয় সে।

Advertisement

পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের একাংশ আবার মনে করছেন, সুপ্রিয়ার ওই বন্ধুও এই সম্পর্কের থেকে বেরোতে চাইছিলেন। কারণ এই সম্পর্কের আঁচ পড়েছিল তার পরিবারে। আর তাতে সম্মতি দিচ্ছিলেন না সুপ্রিয়া। বাধ্য হয়ে সম্পর্ক থেকে বেরোনোর জন্য ওই বন্ধু সুপ্রিয়াকে খুন করে থাকতে পারেন বলেও মনে করছে পুলিশের একাংশ। ভিন্ন মতের কারণ, সুপ্রিয়ার বাড়ি থেকে দু’টি মোবাইলই আততায়ীর নিয়ে চলে যাওয়া। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, খুনের পর নিজের পরিচয় গোপন রাখতে মোবাইল নিয়ে গিয়েছে আততায়ী। আবার মোবাইলে হয়তো এমন কিছু তথ্য ছিল, যে জন্য সম্পর্ক থেকে বার হতে পারছিল না ওই যুবক। তাই সে মোবাইল দু’টি নিয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement