বাবা গ্রামের কৃষক। ছেলে এক সময় দৈনিক ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করে মজুরি পেতেন ৫০ থেকে ১০০ টাকা। বিহারের আরা-র বারজা গ্রামের সেই কৃষক পরিবারের ছেলে বালবাঁকা তিওয়ারি আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিক। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনা আরা-র স্থানীয় স্কুলেই। দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আরায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল না। (প্রতীকী ছবি)
তাই আরা থেকে তিনি চলে গিয়েছিলেন ওড়িশার রৌরকেলায়। সেখানে প্রথমে কাজ নিয়েছিলেন কারখানায়। সেখানে লোহার স্প্রিং এবং রড কেটে তৈরি করা হত। (প্রতীকী ছবি)
কিছু দিন সেই কারখানায় কাজ করার পরে একটি নতুন জায়গায় চাকরি পান তিনি। লোহার কারখানা থেকে এ বার কাজ পেলেন নিমকির কারখানায়। (প্রতীকী ছবি)
কারখানায় দিনভর পরিশ্রমের পরেও পড়াশোনা বন্ধ করেননি তিনি। (প্রতীকী ছবি)
সেই সঙ্গে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্নও। তাঁর এক আত্মীয় ছিলেন ভারতীয় সেনবাহিনীর জওয়ান। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
গ্রামে তাঁর সম্মান ও আপ্যায়ন দেখে অবাক হয়ে যেতেন তিনি। তখন থেকেই ভাবতেন, একদিন তিনিও এই কাজে যোগ দেবেন। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
২০১২ সালে পূর্ণ হয় তাঁর স্বপ্ন। জওয়ান হিসেবে তিনি যোগ দেন ভারতীয় সেনায়। ৫ বছর কর্মরত ছিলেন জওয়ান হিসেবে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
কাজের ফাঁকে ফাঁকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরবর্তী পদক্ষেপের। ২০১৭ সালে ‘আর্মি ক্যাডেট কলেজ’-এর পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। (প্রতীকী ছবি)
এর পরই জওয়ান থেকে তাঁর উত্তরণ হয় আধিকারিক পদে। উত্তরণের প্রস্তুতির জন্য দীর্ঘ দিন তিনি দূরে ছিলেন পরিবার থেকে। দেখতে পাননি সদ্যোজাত মেয়েকেও। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
সেনা আধিকারিক হওয়ার পরে প্রথম বার তিনি দেখেন তাঁর মেয়েকে। তখন তার বয়স ৪ মাস। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
কৃষক পরিবারের সন্তানের এই কৃতিত্বে আপ্লুত তাঁর পরিবার ও নিকটজন। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)