কাপড় জড়ানোর আগে এবং পরে সরস্বতী প্রতিমা। ছবি : ফেসবুক।
সরকারি আর্ট কলেজে ঢুকে সরস্বতীর মূর্তির গায়ে শাড়ি জড়িয়ে দিয়ে এল বজরং দল এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, দেবী সরস্বতীর মূর্তিটির পরনে শাড়ি ছিল না বলেই বাধ্য হয়ে কাজটি করতে হয়েছে তাঁদের!
বুধবার সরস্বতী পুজোর দিন দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার লিচুবাগান এলাকায়। সরকারি আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট কলেজের ভিতরে এক রকম গায়ের জোরেই ঢুকে পড়েন এবিভিপি এবং বজরং দলের সমর্থকেরা। কলেজের ভিতরে সেই সময় সরস্বতী পুজো চলছিল। উপস্থিত ছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের সামনেই সরস্বতী প্রতিমার ‘পোশাক’ নিয়ে আপত্তি তোলেন ওই দু’টি দলের সদস্যরা।
আর্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই তৈরি করেছিলেন ওই প্রতিমা। মূর্তির পরনের পোশাকটি শাড়ি ছিল না। বজরং দল এবং এবিভিপি সমর্থকেরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করেন, প্রতিমাকে কেন শাড়ি পরানো হয়নি? এর পরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে একটি শাড়ি প্রতিমার গায়ে জড়িয়ে দিতে বাধ্য করে দলটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লাল রঙের একটি শাড়ি দিয়ে কার্যত প্রতিমাকে মুড়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে। কিন্তু এর পরেও অবশ্য তাঁরা কলেজ চত্বর ছাড়েননি। বজরং দলের সমর্থকেরা প্রতিমাটিকেই পুরোপুরি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। কাপড়ের আড়ালে থাকা সরস্বতীরই পুজো হয় কলেজে।
এই ঘটনায় এক এবিভিপি কর্মী জানিয়েছেন, ‘‘সরস্বতীর ওই প্রতিমার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। সেউ ভিডিয়ো দেখেই আমরা কলেজে পৌঁছে যাই এবং কর্তৃপক্ষকে প্রতিমাকে শাড়ি পরাতে বাধ্য করি।’’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বলেন, ‘‘যে ভাবে সরস্বতী প্রতিমাটি গড়া হয়েছে, তাতে দেবীর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হয়নি। আর আমরা এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাচ্ছি।’’
পুলিশ খবর পেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কলেজে পৌঁছেছিল। যদিও এ নিয়ে কোনও পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেনি।